1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. thelabpoint2022@gmail.com : Rifat Hossain : Rifat Hossain
ভরা আমন রবি শস্যের মৌসুমে মোরেলগঞ্জে সার সংকট, অতিরিক্ত দামে কিনতে বাধ্য কৃষকরা - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১৯ অপরাহ্ন

ভরা আমন রবি শস্যের মৌসুমে মোরেলগঞ্জে সার সংকট, অতিরিক্ত দামে কিনতে বাধ্য কৃষকরা

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৭ 0 বার সংবাদি দেখেছে

এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি // দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ড্রাগন, মাল্টা, পেয়ারাসহ বিভিন্ন ফলের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে তাছাড়া মাঠে শীতকালীন সবজি, পেঁপে, কলা, আখ, ধানসহ বিভিন্ন শস্যের চাষ রয়েছে। তবে ফসল চাষে যে পরিমাণ রাসায়নিক সারের প্রয়োজন সে তুলনায় সার পাচ্ছেন না কৃষকরা। আমন ও রবি শস্যের ভরা মৌসুমে রাসায়নিক সারের তীব্র সংকটে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। কৃষকরা দোকান থেকে দোকানে ঘুরেও পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় সার। আর যে সামান্য সার পাওয়া যাচ্ছে, তাও কিনতে হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি মূল্যে। এতে কৃষকরা পড়েছেন মহাবিপাকে। তবে জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, পর্যাপ্ত সার আছে যা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে  ইউরিয়া ও এমওপি সারের তেমন ঘাটতি না থাকলেও টিএসপি ও ডিএপি সারের তীব্র সংকট রয়েছে। চাষিরা ডিলারদের কাছে সার নিতে গিয়ে বারবার খালি হাতে ফিরে আসছেন। অনেক জায়গায় সার কিনতে কৃষকের লম্বা লাইন দিতে দেখা গেছে।

অনেক চাষি অভিযোগ করে বলেছেন, ডিলারদের কাছে সার থাকেনা অথচ বেশি টাকা দিলে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সার পাওয়া যায়।

মোরেলগঞ্জে ভাষাদলগ্রামে মুন্না ডেকরেটরের মালিক চাষি  মো আব্দুল জলিল তালুকদার বলেন, বৃষ্টির পরে জমিতে সার দেওয়া একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এখন সার প্রয়োগের উপযুক্ত সময়। কিন্তু কোথাও সার পাওয়া যাচ্ছে না। ডিলারের কাছে যখনই যাই তারা বলে সার নেই। আমি  শীতকাল সবজি ও আমন ধান চাষ করেছি। এখন আমার ৩-৪ বস্তা সার দরকার। কিন্তু সার পাচ্ছি না।ভরা আমন মৌসুম চলছে। ধানের গাছ বড় হচ্ছে, এখন যদি সার না দেই, তবে ধানের ফলন কমে যাবে। কিন্তু আমরা সারের জন্য দৌড়াদৌড়ি করছি। কেউ সঠিক দামে সার দিচ্ছে না। আবার চাহিদা অনুযায়ীও মিলছে না। এতে আমন মৌসুমেই আমরা ক্ষতির মুখে পড়ছি।

মোরেলগঞ্জ উপজেলার উমাজুরি গ্রামের সফল  চাষী শাহজালাল বাবু জানান, টিএসপি সার কেনার জন্য গতকাল ভোর থেকে ডিলারের দোকানের সামনে লাইনে দাড়িয়ে মাত্র ২৫ কেজি সার পেয়েছি। আমার ৭ বিঘা জমিতে চাষ রয়েছে। এতোটুকু সারে কিছুই হবে না।
ডিলারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, টিএসপি সারের চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম। এই পরিমাণ সার দিয়ে কৃষকের এতো বেশি চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। বরাদ্দের সার আসলেই সেটা ১-২ দিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিছু অসাধু খুচরা ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষদের কৃষক সাজিয়ে ডিলারের নিকট থেকে সার তুলে সেগুলো দোকানে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।                                                                                                                                                                           খুচরা সার ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, ডিলাররা তাদের যথাযথভাবে সার দিচ্ছেন না। ফলে দোকানগুলোতে পর্যাপ্ত সার থাকছে না। কৃষকরা তাদের কাছ থেকে সার চাইলে তারাও চাহিদা মতো দিতে পারছেন না।মোরেলগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির বলেন, স্থানীয় কৃষকরা মনে করেন, সঠিক দামে ও পর্যাপ্ত সার সরবরাহ করা হলে কৃষিতে আবারো সুদিন ফিরবে।কৃষককে সার, বীজ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করে কৃষি বিভাগ। বিভিন্ন সীড কোম্পানি পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে সার ও বীজ দিয়ে গরীব কৃষকদের সহযোগিতা করতে হবে।কৃষি প্রধান বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। আবার এই মোরেলগঞ্জে দারিদ্র্যের শীর্ষে এবং নদী ভাঙনের কারণে প্রতিবছরই হাজারো কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হন। তার ওপর সার সংকট কৃষকদের জন্য নতুন দুঃশ্চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  মোঃ সাইফুল ইসলামবলেন, মোরেলগঞ্জ  উপজেলায় সারের তেমন সংকট নেই।আমাদের জমিতে যতটুকু প্রয়োজন তার ছাড়া ৫-৬ গুণ বেশি সার প্রয়োগ করে সারের সংকট তৈরি করছি। যে জমি গুলোতে ২০ কেজি টিএসপি সার প্রয়োগের দরকার সেখানে আমরা ১০০ কেজি টিএসপি সার প্রয়োগ করছি।অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগের ফলে আমাদের জমির স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। জমির উর্বরতা শক্তি কমে আসছে। এমন হতে থাকলে আগামী ২০-২৫ বছর পর এসব জমি গুলো প্যারালাইজড হয়ে যেতে পারে।

রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে কৃষি জমিতে বেশি করে জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। তাহলে মাটির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে ও সারের সংকট তৈরি হবে না।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ