
গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড বাড়লে উদ্ভিদের গঠনগত পরিবর্তন ঘটে। এতে শস্যে জিংক, প্রোটিন ও আয়রনের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান কমে যায়, অন্যদিকে সিসার মতো ক্ষতিকর উপাদানের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। গবেষকরা বিষয়টিকে কেবল ‘পুষ্টির লঘুকরণ’ হিসেবে নয়, বরং খাদ্যের রাসায়নিক গঠনের একটি সম্পূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন।
বিজ্ঞানীরা শস্যের ওপর কার্বন ডাই-অক্সাইডের প্রভাব বুঝতে বেজলাইন হিসেবে ৩৫০ পিপিএম (পার্টস পার মিলিয়ন) ঘনত্বকে ব্যবহার করেছেন। বর্তমানে এই মাত্রা ৪২৫.২ পিপিএমে পৌঁছেছে, যা ২০৬৫ সালের মধ্যে ৫৫০ পিপিএমে পৌঁছাতে পারে। যদি এটি ঘটে, তবে অধিকাংশ পুষ্টি উপাদান গড়ে ৩.২% কমে যাবে। বিশেষ করে ছোলার মতো শস্যে জিংকের পরিমাণ ৩৭.৫% পর্যন্ত কমে যেতে পারে। চাল ও গমের মতো প্রধান খাদ্যশস্যেও প্রোটিন ও আয়রনের উল্লেখযোগ্য ঘাটতি দেখা দেবে। গবেষকরা একে ‘লুকানো ক্ষুধা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন, যেখানে মানুষ পর্যাপ্ত ক্যালরি গ্রহণ করলেও শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে না।
নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলো, যারা গ্রিনহাউসে কৃত্রিমভাবে কার্বন ডাই-অক্সাইড বাড়িয়ে ফলন বৃদ্ধি করে, তাদের জন্য এই গবেষণাটি বিশেষ সতর্কবার্তা। গবেষক টার হারের মতে, ‘জলবায়ু পরিবর্তন কোনো দূরের সমস্যা নয়, এর প্রভাব ইতোমধেই আমাদের ডিনার প্লেটে চলে এসেছে।’