
অনলাইন ডেস্ক
বরিশালে তুচ্ছ ঘটনায় কথা-কাটাকাটি ও রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে ইসলামী আন্দোলনের দুই নেতার ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে কনটেন্ট ক্রিয়েটর পাভেল মুন্সির বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের বুখাইনগর বাজার সংলগ্ন এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত দু’জনকেই শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা উভয়েই সহোদর।
তারা হলেন- ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডস্থ বুখাইনগর এলাকার বাসিন্দা জাফর হাওলাদারের দুই ছেলে কবির হাওলাদার (৪০) ও তানভীর আলম (২৫)। এর মধ্যে কবির ওয়ার্ডের শ্রমিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ও তানভীর ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। উভয়ের মাথায় গুরুত্বর আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
এদিকে অভিযুক্ত হলো- টিকটকার পাভেল মুন্সি, তিনি ঐ এলাকার রফিক মুন্সির ছেলে।
আহত তানভীর জানান, আমরা ইসলামি আন্দোলনের সাথে জড়িত । এ-নিয়ে হঠাত পাভেল মুন্সি আমাদের সাথে বিতর্কে জড়ায়। বিষয়টি নিয়ে আমি প্রতিবাদ করলে আমার ওপর পাভেল ও তার সহযোগী ফারুক, তুষার , সিদ্দিক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুর্ব-পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত হামলা চালায়। আমাকে উদ্বারে এগিয়ে আসলে আমার বড় ভাই কবিরের ওপরও চড়াও হয় তারা। একপর্যায়ে তাদের সাথে থাকা লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের দু’জনে মাথায় পিটিয়ে জখম করে তারা। তিনি আরও জানান, আমাদের ডাক-চিৎকারে স্বজন ও স্থানীয়রা ছুটে আসলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে অভিযুক্তরা । এ বিষয়ে তিনি অভিযুক্তদের বিচারের দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এদিকে তানভীরের বোন ও প্রত্যক্ষদর্শী রুবিনা আক্তার জানান- টিকটকার পাভেল মুন্সি ও তার বাহীনি পরিকল্পিতভাবে আমার দু’ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়। আমার ভাইরা ইসলামী আন্দোলনের রাজনীতি করেন। আর পাভেল ও তার সহযযোগীরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অনুসারী। এ ঘটনার জের ধরে সামান্য এই বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে অতর্কিত হামলা চালায় তারা। আমরা মামলা দায়ের করবো।
এ বিষয়ে জানতে টিকটকার পাভেল মুন্সির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়। এদিকে চরমোনাই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সালাম ফরাজী জানান- সামান্য কথা-কাটাকাটির জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান জানান- লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ দায়ের হলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।