শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে। সংস্কার সনদে স্বাক্ষরিত দলগুলোর ঐক্যের মাধ্যমে আমরা একটি গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারে সবাইকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘নয়া দিগন্ত আমাদের কাছে সংগ্রামের আরেক নাম। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে এই পত্রিকার সাংবাদিক, সম্পাদক, প্রকাশক ও কর্মীরা অকথ্য নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তবুও তারা ধৈর্য, সতর্কতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা চালিয়ে গেছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিগত স্বৈরাচারী শাসনামলে এই পত্রিকার সাংবাদিকদের ওপর ছিল দমন-পীড়নের ভয়াবহ ছায়া। তবুও তারা গণমানুষের চেতনা ও সত্যের সংবাদ প্রচারে অটল ছিলেন। এই সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
এ সময় বিগত ফ্যাসিস্টের আমলে বিএনপির ৬০ লাখ কর্মীকে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, ২০ হাজার কর্মীকে খুন করা হয়েছে এবং অনেকে গুম হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গণমাধ্যমের ওপর অনেক অত্যাচার চালানো হয়েছে। সেই বাকশাল বিলুপ্তির পর জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন। সংস্কারের শুরুটা হয় তার আমল থেকেই।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘নয়া দিগন্ত সবসময় সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। দলের পক্ষ থেকে সম্পাদক, প্রকাশক, রিপোর্টার ও সব কর্মীবৃন্দকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।’
বক্তব্যের শেষে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নয়া দিগন্ত পরিবারকে শুভেচ্ছা জানান দলের মহাসচিব।