1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. thelabpoint2022@gmail.com : Rifat Hossain : Rifat Hossain
বাগেরহাটে জি-নাইন কলা চাষে ভাগ্যবদল, সফল উদ্যোক্তা মনিরুজ্জামান চাকরি হারিয়ে হতাশ ছিলেন, এখন এলাকার অনুপ্রেরণা - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৪২ অপরাহ্ন

বাগেরহাটে  জি-নাইন কলা চাষে ভাগ্যবদল, সফল উদ্যোক্তা মনিরুজ্জামান  চাকরি হারিয়ে হতাশ ছিলেন, এখন এলাকার অনুপ্রেরণা

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৮ 0 বার সংবাদি দেখেছে

এস. এম সাইফুল ইসলাম কবির,  বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি // দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভান্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলেরসুন্দরবনেরবাগেরহাটের ফকিরহাটে জি-নাইন (গ্রান্ড নাইন) জাতের কলা চাষ করে আলোচনায় এসেছেন স্থানীয় যুবক মনিরুজ্জামান। একসময় চাকরি হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। হতাশার সেই সময়ে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় নিয়মিত প্রশিক্ষিত হন। সেখান থেকেই শুরু হয় তার নতুন যাত্রা। জি-নাইন কলা চাষের মাধ্যমে হতাশা কাটিয়ে এখন সফল উদ্যোক্তা মনিরুজ্জামান। মনিরুজ্জামানের এই সাফল্য দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছেন আরও অনেক তরুণ-যুবক।
চাষি মনিরুজ্জামান জানান, তিনি ৫০ শতক জমিতে ৩৭৫টি জি-নাইন কলার চারা রোপণ করেছেন। শুরুতে খরচ হয় প্রায় ৯০ হাজার টাকা। প্রথম বছরেই যে ফলন পাওয়ায় গেছে তাতে তিন গুণ লাভের আশা করছেন তিনি। ইতোমধ্যে প্রায় সব গাছে কলা ধরেছে। বিক্রিও করছেন প্রতিদিন। প্রতি ছড়ায় (কাঁধি) প্রায় ২২০ থেকে ২৮০টি কলা হচ্ছে। কলার আকার যেমন বড় তেমনি খেতেও সুস্বাদু হওয়ায় পাইকার ও খুচরা ক্রেতারা ভিড় করেন। বাগান থেকে একটি কলা ৬ টাকা দরে প্রতি কাঁধি কলা ৮০০ থেকে ১২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা সাধারণ কলার চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি। যে মনিরুজ্জামান একসময় চাকরি হারিয়ে হতাশ ছিলেন, আজ তিনি অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন গ্রামের শ’ শ’ কৃষকের কাছে।
আরেক চাষি শহীদুল আব্দুল্লাহ জানান, ‘আগে আমি বেগুন, পটোলসহ নানা সবজি চাষ করতাম। এখন কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে জি-নাইন কলা চাষ শুরু করেছি। আমার বাগানের কলার চাহিদা অনেক। ভালো লাভের আশা করছি।’ স্থানীয় কৃষক শরীফ শেখ জানান, কাঁধিতে এত কলা তিনি আগে কখনো দেখেননি। সামনের বছর তিনিও জমিতে এই জাতের কলা চাষ করবেন বলে জানান। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, বর্তমানে ফকিরহাটে প্রায় ৫০০ শতক জমিতে জি-নাইন কলার চাষ হয়েছে। পঞ্চাশজন কৃষক এই জাতের কলার চাষ করেছেন। এ ছাড়া অনেকে শখেরবশেও জি-নাইন কলা চাষ করছে। এই জাতের কলায় রোগ কম হওয়ায় খরচও কম হয়ে থাকে। অনেকেই ইতোমধ্যে জমি প্রস্তুত করেছেন জি-নাইন কলা চাষের জন্য।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন জানান, বাজারে সচারাচর যেসব কলা পাওয়া যায় তার প্রতি কাঁধিতে ৮০ থেকে ১৪০টি কলা হয়ে থাকে। কিন্তু জি-নাইন গাছে কলার সংখ্যা ২২০ থেকে ২৮০টি পর্যন্ত হয়ে থাকে। আবার কলা উৎপাদন সময়কালও কম। যার কারণে কৃষক অধিক লাভবান হন। এ ছাড়া কলার পুষ্টিগুণ বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদাও বেশি।
বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোতাহার হোসেন জানান, টিস্যু কালচারের মাধ্যমে গ্রান্ড নাইন জাতের কলার চারা উৎপাদন করা হয়। এই কলা চাষের ভালো দিক হলো, রোগব্যাধি কম, উৎপাদন বেশি, কলার ফলন কাল কম, বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি। ফলে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। এ ছাড়া বাংলাদেশে থাইল্যান্ড থেকে অর্গানিক ব্যানানা চিপস আমদানি করা হয়। অথচ জি-নাইন কলা থেকে এই অর্গানিক ব্যানানা চিপস বানানো যায়। এতে কৃত্রিম চিপসের ওপর মানুষের নির্ভরতা কমবে। ফলে শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস পাবে। জি-নাইন কলার চাষ বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগ সহায়তা করছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ