
আন্তর্জাতিক ডেস্ক // যুক্তরাষ্ট্রের দোষী সাব্যস্ত প্রয়াত কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টাইনের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগের তদন্তের ফাইলগুলো জনসম্মুখে প্রকাশের অনুমোদন দেওয়া বিলে বুধবার স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রয়টার্স লিখেছে, এই ফাইলগুলো এপস্টাইনের যৌন অপরাধের বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য হাজির করতে পারে। এই অপরাধী একজন নাবালিকাকে পতিতাবৃত্তির জন্য প্রস্তাব দেওয়ার দায়ে ২০০৮ সালে দোষী সাব্যস্ত হন। এর আগে নিউ ইয়র্কের এই ধনকুবের বিনিয়োগকারী তৎকালীন আরেক ধনকুবের ব্যবসায়ী ট্রাম্প ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন।
কয়েক মাস ধরেই ট্রাম্পের পক্ষের জন্য এপস্টাইন কেলেঙ্কারি একটি রাজনৈতিক কাঁটা হয়ে আছে। এর আংশিক কারণ ট্রাম্প নিজেই তার সমর্থকদের মধ্যে এপস্টাইনের বিষয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব উস্কে দিয়েছিলেন।
ট্রাম্পের অনেক ভোটারের বিশ্বাস তার প্রশাসন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে এপস্টাইনের সম্পর্ক এবং কারাগারে তার মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আড়াল করছে। যৌন কর্মী পাচারের ফেডারেল অভিযোগের বিচার চলাকালে ২০১৯ সালে ম্যানহ্যাটনের এক কারাগারে এপস্টাইনের মৃত্যু হয়। পরে তার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে সাব্যস্ত করা হয়।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি নিশ্চিত করেছেন, বিচার বিভাগ তাদের এপস্টাইন সংক্রান্ত নথিপত্র ৩০ দিনের মধ্যে প্রকাশ করবে।
মঙ্গলবার রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ ও সেনেটে বিলটি প্রায় সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়। এরপর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বিলটি আইনে পরিণত হল। এই আইনে এপস্টাইন সংক্রান্ত নথিপত্র ৩০ দিনের মধ্যে প্রকাশের জন্য মার্কিন বিচার বিভাগকে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
“আমরা আইন মেনে চলতে থাকব এবং সর্বোচ্চ স্বচ্ছতাকে উৎসাহিত করবো,” সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন বন্ডি।
তবে প্রকাশিত ফাইলগুলো ব্যাপক হবে না। কারণ মার্কিন কংগ্রেস যে আইন পাস করেছে তাতে এপস্টাইনের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের তথ্য এবং যেসব উপাদান সক্রিয় তদন্তকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে বিচার বিভাগকে সেগুলো আটকে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প তদন্ত সংস্থাকে এপস্টাইনের সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কয়েকজন ডেমোক্র্যাট ব্যক্তিত্বের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আর এসব লোকজনের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য না প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন কর্মকর্তারা।

মার্কিন বিচার বিভাগ অন্যান্য তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ থেকে আটকে রাখার সময় নিয়মিতভাবে চলমান তদন্তগুলোকে রক্ষা করার কথা উল্লেখ করে আসছিল।