প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন ও সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে এবং জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সভায় রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন।
সভায় জানানো হয়, দ্বীপজেলা ভোলাকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগে যুক্ত করতে কালাবদর ও তেঁতুলিয়া নদীর ওপর ১৬ দশমিক ৩৬৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মূল চার লেনের সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ১০ দশমিক ৮৭৬ কিলোমিটার, বাকি অংশ সংযোগ সড়ক। নদীশাসনের আওতায় থাকবে সাড়ে ৫ কিলোমিটার এলাকা।
প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু হলে প্রকল্পটি ২০৩৩ সালে শেষ হবে বলে জানানো হয়। বিনিয়োগের জন্য জাপানি একটি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চলছে, যা সফল না হলে বিকল্প হিসেবে কোরিয়া এবং সবশেষ প্রয়োজনে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
সভায় ‘আমরা ভোলাবাসী’ প্ল্যাটফর্মের পাঁচ দফা দাবির পক্ষে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জেলা আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর, সদস্য সচিব রাইসুল আলম, বিজেপি জেলা সভাপতি আমিরুল ইসলাম রতন, জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি হারুন অর রশিদ, সিপিপি সভাপতি মুবাশ্বির উল্যাহ চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা তারিকুল ইসলাম, হেফাজতের মাওলানা মিজানুর রহমান, শরীফ হাওলাদার সাগর, অ্যাডভোকেট শহীদ শাহাদত, তালহা তালুকদার বাঁধন, এনামুল হক, রাহিম ইসলাম, জহিরুল আলমসহ অনেকে।
একই সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঝড়ো বৃষ্টির মধ্যেও পাঁচ দফা দাবির পক্ষে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা।
সভা শেষে প্রতিনিধি দল জানান, ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণ ছাড়া বাকি চারটি দাবি ঢাকায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে সরকারের পক্ষ থেকে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে ২০২২ সালে অর্থনৈতিক বিভাগে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়, তবে বরাদ্দ না পাওয়ায় প্রকল্পটি আর এগোয়নি। বৃহস্পতিবারের ঘোষণার পর নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন দ্বীপবাসী।