নিজস্ব প্রতিবেদক // পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স শেয়ার কারসাজির মাধ্যমে ৯০ লাখ টাকা মুনাফা করে এখন ৫০ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হচ্ছে জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তার মা শিরিন আকতারকে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ওই কারসাজির বিস্তারিত তথ্য সম্প্রতি প্রকাশ করেছে।
সাকিব ও তার মায়ের নামে পরিচালিত একটি যৌথ বিও হিসাব থেকে শেয়ার কেনাবেচায় কারসাজি করা হয়। ডিএসইর তদন্ত ও বিএসইসির প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সাকিব আল হাসান ও তার মায়ের বিও হিসাবে মাত্র তিন দিনে প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্সের ১০ লাখ ৬০ হাজার শেয়ার কেনা হয়। এসব শেয়ারের গড় ক্রয়মূল্য ছিল ৬৫ টাকা ২৪ পয়সা।
এ জন্য প্রায় ৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়। গত বছরের ১২, ১৪ এবং ১৭ সেপ্টেম্বর ভিন্ন ভিন্ন দামে এসব শেয়ার কেনা হয়। এর মধ্যে প্রায় ১০ লাখ ২১ হাজার শেয়ার কেনা হয় ১২ ও ১৪ সেপ্টেম্বর।
এই দুই দিনে কেনা সব শেয়ারই পাঁচ দিনের ব্যবধানে বিক্রি করে দেন সাকিব আল হাসান। তাতে প্রতি শেয়ারে প্রায় ৯ টাকা করে মুনাফা হয়। সব মিলিয়ে মুনাফা দাঁড়ায় ৯০ লাখ টাকা।
এ ছাড়া কোম্পানিটির আরও ৪০ হাজার শেয়ার অবিক্রিত ছিল সাকিবের বিও হিসাবে। তাতে ওই শেয়ারে আনরিয়ালাইজড বা অনর্জিত মুনাফার পরিমাণ ছিল ৪ লাখ টাকা।
চলতি বছরের গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিএসইসির ৯২৩তম কমিশন সভায় পুঁজিবাজারে কারসাজিতে জড়িত থাকায় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
সাকিবের পাশাপাশি আবুল খায়ের হিরুকে ২৫ লাখ টাকা, ইশাল কমিউনিকেশন লিমিটেডকে ৭৫ লাখ, মোনার্ক মার্টকে ১ লাখ, আবুল কালাম মাতবরকে ১০ লাখ, লাভা ইলেক্ট্রোড ইন্ডাস্ট্রিজকে ১ লাখ এবং জাহেদ কামালকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
বিএসইসি জানিয়েছে, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার কারসাজির কারণে তাদের সবাইকে মোট এক কোটি ৬৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।