এক বুক অভিমান নিয়ে বললেন, ‘অনন্ত জলিলকে আপনারা মেরে ফেলেছেন।’
শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকালে তিনি একটি দীর্ঘ ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে। সেখানে তিনি মূলত মুর্তজা অতাশ জমজমের ইনস্টাগ্রামে অনন্তর প্রতি অভিযোগ বার্তা ও ‘দিন দ্য ডে’ ছবির বাজেট প্রসঙ্গে নিজের আত্মপক্ষ সমর্থন করেন।
জানান, চাইলে তিনি এই কথাগুলো আরও আগেই বলতে পারতেন। তবে তিনি মাঝের কয়দিন অপেক্ষা করেছেন তার ভক্ত ও মিডিয়ার আচরণ দেখার জন্য। যা দেখে তিনি হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
মিডিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, ‘সত্যতা যাচাই না করে কেমন করে ছবিটিকে ৪ কোটি টাকার বলে হাজার হাজার নিউজ করলেন আপনারা। আপনাদের যাচাইয়ের সময় নাই? অনন্ত জলিল মানেই আলোচনা-সমালোচনার কম্পিটিশন লেগে যায়।’ এরপর তিনি মূলত ক্ষোভ প্রকাশ করেন সেই মানুষ বা সংগঠনের প্রতি, যাদেরকে তিনি বিভিন্ন সময় আর্থিক সহায়তা করেছেন। অনন্ত বলেন, ‘যে কোনও দুর্যোগ হলে অনন্ত ঝাঁপিয়ে পড়ে। কারও বিপদ হলে অনন্ত ছুটে যায়। মানুষের সহযোগিতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমার ফ্যান ক্লাব হয়েছে। কদিন আগেও তাদের ২৫ লাখ টাকা দিয়েছি। কিছুদিন আগে সিলেটে ৩০ লাখ দিয়েছি বন্যার জন্য। ঢাবিতে বন্যার্তদের জন্য ৫ লাখ দিলাম। করোনার সময় আমি বস্তিতে বস্তিতে ঘুরেছি। আমার ওয়াইফ তার বাচ্চাদের নিয়ে সাহায্য দিয়েছে। জেলায় জেলায় ঘুরে বেড়িয়েছি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। নিজের জীবনের মায়া করিনি। এই সময়ে এসে দেখলাম, তারা আমার জন্য আন্দোলন করে কি না। না, কেউ আমার হয়ে দাঁড়ায়নি। তারমানে আমি এতোদিন যা করেছি ভুল করেছি। মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমার ভুল ছিলো।’
সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অনন্ত বলেন, ‘আপনারা আমাকে বদলে দিয়েছেন। আমার চোখ খুলে দিয়েছেন। অনন্ত জলিলকে আপনারা মেরে ফেলেছেন। এখন অন্য সেলিব্রেটির মতো আমিও বদলে গেছি। আমাকে আর আগের মতো আপনারা পাবেন না। আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ।’
এর আগে পরে অনন্ত জলিল ‘দিন: দ্য ডে’ ছবি নির্মাণের নানা প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করেন। জানান ইরানি পরিচালক মুর্তজা অতাশ জমজমের সঙ্গে বিভেদ তৈরির নানা প্রসঙ্গ।
বাংলাদেশ-ইরান যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এই ছবি নিয়ে শুরু থেকেই অনন্ত জলিল দাবি করে আসছিলেন ১০০ কোটি টাকা বাজেটের ছবি ‘দিন: দ্য ডে’। কিন্তু ছবিটি মুক্তির প্রায় দেড়মাস পর সম্প্রতি পরিচালক দাবি করলেন, প্রকৃত বাজেট আসলে ৫ লাখ ডলার। ২০১৮ সালে হওয়া চুক্তি অনুসারে সিনেমাটির বাজেট বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ কোটি টাকার কিছু বেশি।
ইনস্টগ্রামে এক পোস্টে পরিচালক এই চুক্তিপত্র প্রকাশের পাশাপাশি অনন্তের বিরুদ্ধে বকেয়া অর্থ পরিশোধ না করা, চিত্রনাট্য ও শুটিং লোকেশন পরিবর্তনসহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন।
Leave a Reply