এছাড়া রায়ে অপর ৮ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
এরআগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর মামলাটি রায়ের জন্য ধার্য ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ৯ অক্টোবর ধার্য করেন আদালত।
রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন ও আসাদুল ইসলাম।
রায়ে দণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামির এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সমুদয় অর্থ থেকে মাত্র ২০ হাজার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করে অবশিষ্ট টাকা রেনুর দুই সন্তান মাহিন ও তুবাকে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রায়ে খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি ওরফে শহিদুল ইসলাম, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন ও মহিউদ্দিন।
রায় শুনে খালাসপ্রাপ্তরা আল্লাহর দরকারে শুকরিয়া জানান। দণ্ডপ্রাপ্তরা কাঁদতে থাকেন। রায় শেষে দণ্ডপ্রাপ্তদের সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে রায় শুনতে এদিন আদালতে হাজির হন রেনুর দুই সন্তান মাহিন ও তুবা। ছিলেন বোন নাজমুন নাহার ও ভাগ্নে নাসির উদ্দিন টিটু।
রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে রেনুর ভাগ্নে মামলার বাদী নাসির উদ্দিন টিটু বলেন, ‘রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো।’
রেনুর বোন নাজমাও একই কথা বলেন। তার কাছেই বড় হচ্ছে তুবা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডার একটি স্কুলে সন্তানদের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।
২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল হক ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইজনের বিরুদ্ধে দোষীপত্র দাখিল করেন।
২০২১ সালের ১ এপ্রিল ১৩ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।
মামলাটিতে আদালত চার্জশিটভূক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, মামলা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ধার্য করা হয়।
এদিকে দুই শিশুর মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু টাইব্যুনাল-৭ এ বিচারাধীন।