আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২ টা ১৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। শিরোপাজয়ীদের বরণ করতে আগে থেকেই প্রস্তুত করে রাখা হয়েছিল সুসজ্জিত ছাদ খোলা বাস। বিকেল সাড়ে তিনটার পরপরই সাবিনাদের বহন করা ছাদখোলা বাসটি বাফুফের উদ্দেশে রওনা হয়। সবার গলায় আছে ফুলের মালা। বাস ঘিরে উৎসুক জনতার ভিড়।
জানা যায়, বিমানবন্দরের আনুষ্ঠিকতা শেষে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল চলে যাবে সরাসরি বাফুফে ভবনে। সেখানে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বিকেলে চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস নারী দলকে একদিন সংবর্ধনা জানাবেন বলেও এক বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে।
গত আসরের মতো এবারও সাফে অপরাজিত থেকেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপপর্বের কোনো ম্যাচে হারেননি মেয়েরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে টুর্নামেন্টে যাত্রা শুরু করেন তারা। এরপর শক্তিশালী ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়ে যে হৃদম পেয়ে যান মেয়েরা, সেটি কাজে লাগিয়ে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে বাজিমাত করেন তারা। সেমিফাইনালে ভুটানকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করে বাংলাদেশ। ফাইনালে নেপালিদের হৃদয় ভেঙে দিয়ে শিরোপা জিতলেন সাবিনারা।
আগে থেকেই অনুমিত ছিল- ফাইনাল ম্যাচে বাড়তি রোমাঞ্চ ছড়াবে। প্রথমার্ধে খেলা না হলেও দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র চার মিনিটের মধ্যে (৫২ থেকে ৫৬) বাংলাদেশ ও নেপাল পাল্টাপাল্টি গোল করেছে। প্রথমে বাংলাদেশকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন মণিকা চাকমা। এরপর নেপালকে ১-১ সমতায় ফেরান আমিশা কারকি। এরপর দুদলই এগিয়ে যাওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। আক্রমণ ও পাল্টাআক্রমণে ম্যাচ জমে ওঠে। গোলের সুযোগ তৈরি হয়। ৬৭ মিনিটে নেপাল গোলরক্ষকের অসাধারণ দক্ষতা দেখানোয় গোল বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ। মারিয়া মান্ডার নেওয়া দূরপাল্লা শটে বলটি স্বাগতিক গোলরক্ষক সেভ না করলে এগিয়ে যেতে পারতেন লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের মেয়েদের আটকিয়ে রাখতে পারেননি নেপালিকন্যারা। ৮১ মিনিটে বাঁ পায়ের জোরালো দূরপাল্লার শটে চোখ ধাঁধানো এক গোল উপহার দেন। ২-১ গোলে এগিয়ে যান ঋতুপর্ণা চাকমারা। তার গোলটিই শেষ পর্যন্ত ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়।