আন্তর্জাতিক ডেস্ক // যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় হারিকেন মিলটনের প্রভাবে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন ৩০ লাখের বেশি গ্রাহক। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের তথ্য পর্যবেক্ষক পাওয়ারআউটেজ ডট ইউএস এ তথ্য জানিয়েছে। সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছেন হারডি কাউন্টির বাসিন্দারা। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী সারাসোটা ও মানাটি কাউন্টিতে এ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।
ফ্লোরিডা জরুরি পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক কেভিন গুথরি বলেছেন, হারিকেনটি স্থলভাগে আঘাত হানার আগেই প্রায় ১২৫টি বাড়ি লন্ডভন্ড করে দেয়। এর মধ্যে অনেকগুলো বাড়ি প্রবীণ নাগরিকদের জন্য তৈরি করা।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে, বুধবার রাতে স্থলভাগে আঘাত হানার প্রায় ৯০ মিনিট পরে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রের অবস্থান ছিল সারাসোটা কাউন্টি থেকে প্রায় ২০ মাইল (৩০ কিলোমিটার) উত্তর-পূর্বে। এ সময় কিছুটা দুর্বল হয়ে ২ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় মিল্টন। এটির কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১০ মাইল (১৭৫ কিলোমিটার), যা ঘণ্টায় ১৬ মাইল (২৬ কিলোমিটার) বেগে পূর্ব-উত্তর পূর্বে অগ্রসর হচ্ছিল।
ফ্লোরিডার বন্দরনগরী ফোর্ট শেয়ারে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর জলোচ্ছ্বাসের পানিতে প্লাবিত হয়েছে সেখানকার রাস্তাঘাট।
ফ্লোরিডার আটলান্টিক উপকূলে ফোর্ট পিয়ার্সের কাছে স্পেনিস লেকস কান্ট্রি ক্লাব এলাকায় তাণ্ডব চালায় হারিকেন মিলটন। ধ্বংস হয়ে যায় অনেক ঘরবাড়ি। এতে সেখানকার কয়েকজন বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে।
সেন্ট লুচি কাউন্টির শেরিফ কেইথ পিয়ারসন ডব্লিউপিবিএফ নিউজকে বলেন, ‘আমরা কিছু প্রাণ হারিয়েছি।’ তবে তিনি মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করেননি।
ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস জানায়, হারিকেন মিলটনের প্রভাবে ফ্লোরিডাজুড়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিধ্বংসী বৃষ্টি ও বিপজ্জনক বাতাস হতে পারে। তবে রাতে ঘূর্ণিঝড়টি আটলান্টিক মহাসাগরে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান