সবার ভাষা এক নয়। কারও কাছে দৃশ্যটাই ভাষা। আবার কারও কাছে দৃশ্যভাষা বলে কিছু নেই, শব্দটাই তার সব। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের কাছে দৃশ্য থেকে ভাষা উৎসারিত হয় না বরং তারা শব্দকে অনুসরণ করে দৃশ্য তৈরি করেন অন্তর জগতে।ভাষার মাসে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ভাষা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবং সবার ভাষার প্রতি সম্মান জানাতে বিশেষ প্রচারণা শুরু করেছে একটি মোবাইল সেবাদান প্রতিষ্ঠান ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের সিনেমা উপভোগের ব্যবস্থা করেছে প্রতিষ্ঠান দুটি। অডিও ডেসক্রিপশন বা ধারাবর্ণনার মাধ্যমে সিনেমাটি উপভোগ করতে পারবেন তারা। আর এজন্য বেছে নেওয়া হয়েছে চরকি অরিজিনাল ফিল্ম ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’। এটি মিনিস্ট্রি অফ লাভ প্রকল্পের একটি সিনেমা।
মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ সিনেমাটি বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। ভার্সনটি ২১ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি ফ্রি-তে উপভোগ করা যাবে মাইজিপি অ্যাপে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছে, ‘চরকি ও গ্রামীণফোন এই প্রথম দেখার ভাষায় নিয়ে এলো “কাছের মানুষ দূরে থুইয়া” চলচ্চিত্রটি। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা এখন সিনেমাটি পুরোপুরি এক্সপেরিয়েন্স করতে পারবেন অডিও ডেসক্রিপশনসহ।’
অডিও বর্ণনাসহ ট্রেলার লিংক- https://fb.watch/xTRsqkyPaU/
প্রীতম হাসান-তাসনিয়া ফারিণ অভিনীত সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন শিহাব শাহীন। নির্মাতা বলেন, ‘দর্শকরা দেখবে বলেই আমরা কাজ করি। কিন্তু ভেবে দেখি না, সবার দেখাটা এক না। এজন্য চরকি ও গ্রামীণফোন নিয়েছে দারুণ পদক্ষেপ। আমার পরিচালিত সুপারহিট চরকি অরিজিনাল ফিল্ম “কাছের মানুষ দূরে থুইয়া” দেখা ও শোনা যাবে দেখার ভাষায় অর্থাৎ অডিও ডেস্ক্রিপশনসহ!’
সংলাপগুলো ঠিক রেখে পুরো সিনেমাটি বর্ণনা করা হয়েছে। চরিত্রের অবস্থান, পরিবেশ, মুহূর্ত, স্থানের ধারাবর্ণনার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে নতুন ভার্সনের সিনেমাটি। এতে ধারাবর্ণনা দিয়েছেন অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার এবং ধারাবর্ণনাটি লিখেছেন সিদ্দিক আহমেদ।
‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ একটি স্পর্শের গল্প। জীবনের প্রয়োজনে দূরে যাওয়ার, আবার অনুভূতির আলোড়নে ফিরে আসার গল্প। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সিনেমাটি মুক্তি পায় চরকিতে।