দেশের মানুষের কাছে গায়ক থেকে ‘নায়ক’ হওয়া এই সংগীতশিল্পী এবার দেশ ত্যাগ করার পরিকল্পনা করছেন। সম্প্রতি একটি টেলিভিশনের আড্ডা অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আগামীতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান বা দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছা কী আছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তাসরিফ খান বলেন, ‘দেশের জন্য আমি সারাজীবনই করতে চাই। কিন্তু দেশে আমার থাকার যে অনেক… ছোটবেলা থেকেই বিদেশে শুনলে আমার ভালো লাগত না। কিন্তু বর্তমানে দেশের যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং আমি দেখছি যে নোংরামিই আমি বলব…।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি দেশকে অনেক ভালোবাসি। আমার কাছে এগুলো আর ভালো লাগছে না। আমি এগুলো নিতে পারি না, অনেক কষ্ট লাগে। এখন আমার ইচ্ছা করে হয়তোবা আমি দেশে থাকব না। হয়তোবা আগামী দুই-তিন বছর পর আমি দেশের বাইরে চলে যেতে পারি। আর দেশের সেবা করার জন্য আমাকে খুব বড় কিছু হতে হবে না।’
মূলত, দেশের রাজনীতি, মারামারি-হানাহানির এসবের কারণেই দেশ ত্যাগ করার পরিকল্পনা করেছেন ‘রাজার রাজ্যে সবাই গোলাম’ গানের এই গায়ক।
বলা দরকার, শৈশব থেকেই তাসরিফের গানের চর্চা শুরু। যদিও শৈশবে খুব লাজুক ছিলেন এই গায়ক। অন্যের সামনে গান করতে লজ্জা পেতেন। তিনিই একদিন ‘নিধুয়া পাথারে…’ শিরোনামে একটি গান মুঠোফোনে রেকর্ড করেন। ভয়ে ভয়ে সেটি ফেসবুকে পোস্ট করেন। সেই গানে ৯০ জন ইতিবাচক মন্তব্য করেন। সেদিনই তার মনে হয়, তিনি গান করলে ৯০ ভাগ না হলেও ৫০ ভাগ মানুষ তো তার গান পছন্দ করবেন। এই আত্মবিশ্বাসই তাকে গানে ক্যারিয়ার গড়তে সহায়তা করে।
তাসরিফের গাওয়া প্রথম ‘মধ্যবিত্ত…’ গানটি তাকে রাতারাতি শ্রোতাদের কাছে নিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে ‘তুমি মানে আমি’, ‘ময়না রে’, ‘তাই তো আইলাম সাগরে’, ‘ব্যাচেলর’, ‘রাজার রাজ্যে সবাই গোলাম’ গানগুলো তাকে আলোচনায় আনে।