1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. thelabpoint2022@gmail.com : Rifat Hossain : Rifat Hossain
পদ্মার ভাঙনে ১৬০ পরিবার নিঃস্ব - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরনাম :

পদ্মার ভাঙনে ১৬০ পরিবার নিঃস্ব

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৮৩ 0 বার সংবাদি দেখেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক// রাজশাহীর গোদাগাড়ীর চরে পদ্মা নদীর ভাঙনে দুই সপ্তাহে অন্তত ১৬০টি পরিবার ও বিপুল ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হঠাৎ শুরু হওয়া ভয়াবহ ভাঙনে এলাকার মানুষ সব হারিয়ে চরম দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

ভাঙনের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চরাঞ্চল হঠাৎপাড়া, চর বয়রামারি, কামারপাড়া, জামাইপাড়া ও আমতলা খাসমহল গ্রামে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, অনেক পরিবার বাড়িঘর ভেঙে নৌকায় তুলছেন এবং নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চলে যাচ্ছেন অন্যত্র।

জামাইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাইদুর রহমান বলেন, এর আগেও দু’বার বাড়ি সরাতে হয়েছে। এবার আর চরে থাকার জায়গা নেই। ভাইয়ের বাড়ি চলে যাচ্ছি।

বয়রামারি থেকে আসা তাহেরা খাতুন বলেন, ৬ বছর আগে একবার বাড়ি ভাঙতে হয়েছিল। এখন আর কোনো জায়গা নাই। ভাইয়ের বাড়িতে গিয়ে উঠছি। জমিটমি দেখেই পরে আবার বাড়ি করব।

স্থানীয় বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম জানান, পানি কমতে শুরু করলেও ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এই কয়দিনে কমপক্ষে চার রশি জমি নদীতে চলে গেছে। অন্তত ১৫০টি পরিবার ইতিমধ্যে এই পাড়ে চলে এসেছে।

পদ্মার পানি রাজশাহী শহরের নিকটবর্তী এলাকায় বিপৎসীমা ১৮.০৫ মিটার হলেও ভাঙনকবলিত চর আষাড়িয়াদহ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে নির্দিষ্ট তথ্য নেই। সর্বশেষ শনিবার দুপুরে পদ্মার পানি ছিল ১৬.৮৫ মিটার, যা এখনও কিছু এলাকায় প্লাবন অব্যাহত রেখেছে।

চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা খুব অসহায়। ১০ কেজি করে চাল দিয়েছি, কিন্তু যাদের ঘরবাড়ি নদীতে গেল, তাদের জন্য এটা কিছুই না। সরকারকে বড় পরিসরে সহায়তায় আসতে হবে। প্রতিবছর এমন চলতে থাকলে চরটি মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে। পদ্মা ঢুকে পড়বে ভারতের ভেতরে।

গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফয়সাল আহমেদ জানান, পানি বাড়ার সময় ২০টি পরিবার ও পানি কমার সময় আরও ৯০টি পরিবার ভাঙনের শিকার হয়। এখন পর্যন্ত মোট ১১০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে আমাদের তালিকায় আছে। তাদের জন্য ঢেউটিন ও অন্যান্য সহায়তা দেওয়া হবে।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারিভাবে যে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তারা দ্রুত নদীশাসনের দাবি জানিয়েছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ