নিজস্ব প্রতিবেদক // পতীত আ’লীগ কর্মীদের নিয়ে এবার কাচা বাজার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কমিটি গঠনের পায়তারার অভিযোগ। গতকাল সোমবার বিকেল ৩ টার সময় নগরীর ভাটার খাল (১০নং ওয়ার্ড) এলাকায় কাঁচা বাজার ব্যবসায়িক সমিতির মতবিনিময় সভায় সভাপতি পদে আ’লীগের কিছু চিহ্নিত নেতাকর্মীদের পুনঃগঠন করার চেস্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, বিগত সরকারের আমলে যারা প্রকাশ্যে আ’লীগ এর নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের সাথে সখ্যতা রেখে কতিপয় কিছু বিএনপি কর্মী বাজার কমিটি করার পায়তারা চালাচ্ছ।
কাঁচাবাজারে এক রোড ব্যবসায়ী আ’লীগ কর্মীদের নিয়ে সভা আয়োজন করার প্রতিবাদ করায় উত্তম মধ্যম করা হয়েছে জনৈক এক ব্যক্তিকে।
জনৈক ব্যক্তি কান্নাজড়িত কন্ঠে জানায়, আমরা রোডে মাল ফালাইয়া ব্যবসা করি প্রায় ২শতাধিক শ্রমিক।
আমাদের উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম এটি। এই কাজ বন্ধ করে দিলে না খেয়ে মরে যেতে হবে।
বৈষম্যহীন স্বাধীন দেশে যদি আবার আমরা বৈষ্যমের স্বিকার হই তাহলে কোথায় যাবো আমরা, এমনটাই প্রশ্ন রাখেন সংবাদকর্মী সহ সচেতন মহলের কাছে।
আমাদের পেটে লাথি মেরে আমাদের কাজ বন্ধ করে দেছে কতিপয় বিএনপির কিছু নেতাকর্মী, আর তাদের সাথে আ’লীগ নেতারা। দেশের মানুষ যখন আওয়ামী লীগকে বয়কট করছে, পতীত শেখ হাসিনা সরকারকে ঠিক এই সময় বিএনপির কিছু কতিপয় নেতা আ’লীগ কর্মীদের নিয়ে সভা, মিটিং করে আসলে কি হাসিল করতে চাচ্ছে, বুঝতে পারছেনা সাধারণ জনগন সহ স্থানীয় রাজনৈতিক বিএনপি নেতাকর্মীরা।
অপর একটি সূত্র নিশ্চিত করে জানান, আ’লীগের চিহ্নিত কর্মী আরিফ হাজি, কতিপয় কিছু বিএনপি কর্মীদের সাথে সখ্যতা বজায় রেখে বাজার কমিটির সভাপতি হওয়ার সপ্ন দেখছে।
মতবিনিময় সভায় দেখা যায় বিএনপির অফিস পোড়ানো মামলায়, জড়িত আ’লীগ নেতা কাঁচাবাজার কমিটির সেক্রেটারি কবির হাওলাদারকেও।
এছাড়া আ’লীগের একাধিক ব্যক্তিকে উক্ত সভায় অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। কবির হাওলাদারের আ’লীগের সভা-সমাবেশের একাধিক ফুটেজ সংবাদকর্মীদের হাতে সংরক্ষিত আছে।
স্থানীয় একটি সূত্র নিশ্চিত করে জানান, মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি,
আবুল হাসনাত এর উপস্থিতিতে মতবিনিময় সভায় আ’লীগের চিহ্নিত নেতাকর্মীদের দেখে হতবাগ স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। এমন কর্মকান্ডে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে ও দলকে বিতর্কীত করা হচ্ছে বলে দাবি করছেন সচেতন মহল।
স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ জানান, আ’লীগের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, তাদের পুন:গঠনের কোনো সুযোগ নেই। যারা এই এমন চেস্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।