
সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বর্তমানে দুঃশাসনের প্রকোপ চরম মাত্রায় উপনীত হয়েছে। এই আওয়ামী সরকারের আমলে জনসমাজে নারী, পুরুষ নির্বিশেষে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকার নিরাপত্তা চরমভাবে বিপন্ন। বর্তমানে কাঁচা মরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের বিস্ময়কর বৃদ্ধিতে মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, যশোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও অন্যতম সদস্য মিজানুর রহমান খানসহ যুবদল, ছাত্রদলের ২১ জন নেতাকর্মীকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় জড়িত করে জামিনের জন্য আদালতে হাজির হলে তাদেরকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো এবং ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ খালিদ হাসান জ্যাকি ও কলাবাগান থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাজিব হোসেনকে সকল মামলায় জামিনে থাকার পরেও পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার সরকারের অব্যাহত অত্যাচার, জুলুম ও নিপীড়নে স্বৈরাচারি নীতিরই বহি:প্রকাশ।
তবে মিথ্যা মামলা আর গ্রেপ্তারের কৌশল অবলম্বন করে আটককৃত নেতৃবৃন্দকে নিষ্প্রাণ, নীরস ও নিস্তেজ করা যাবে না বরং তারা অগণতান্ত্রিক শক্তিকে আরও বেশি প্রতিরোধ করতে উদ্দীপ্ত হবে বিবৃতিতে তিনি বলেন।
তিনি আরও বলেন, রাজপথে জনগণের বিপুল শ্রোত থামানো যাবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবেই।
মির্জা ফখরুল অবিলম্বে যশোর ও ঢাকায় উল্লিখিত গ্রেপ্তারকৃত নেতৃবৃন্দের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান।