সেখানে দেখা যাচ্ছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একদল তরুণের সঙ্গে রাজপথে মিছিলে স্লোগান দিচ্ছেন পাভেল। এ ভিডিও দেখে কমেন্ট বক্সে অভিনেতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তার ভক্তরা।
তবে, অভ্যুত্থানের কোনো ‘ক্রেডিট’ নিতে চান না এ অভিনেতা। দেশ স্বাধীন ও আন্দোলনের সব ক্রেডিট ছাত্র-জনতাকে দিতে চান তিনি। সবার মতো নতুন মানবিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন পাভেলও।
এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে পাভেল বলেন, ‘আমি যেটা পারি, সেটা হচ্ছে অভিনয়। আমি সেটাই করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে আন্দোলনে যাওয়ার পর থেকে ভয়ে ছিলাম। ভয়ে ফোন ধরতাম না।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দিনগুলোর কথা স্মরণ করে অভিনেতা বলেন, ‘অনেকে মিছিলের ভিডিও দেখে ফোন দিত। ভয়ে ফোন ধরতাম না। ভয় কাজ করত, যদি সরকার ক্ষমতা না ছাড়ে, আমাদের অবস্থা তো খারাপ হয়ে যাবে। পরিবারকে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় কি না, তাদের নিরাপত্তা নিয়েও ভয় ছিল।’
নতুন কাজ প্রসঙ্গে পাভেল জানান, দেশ স্বাধীনের পরপরই শুটিংয়ে ফিরতে হয়েছে। বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকের কাজ ছিল। এই কাজগুলো কমিটমেন্টের কাজ ছিল, তাই দ্রুত কাজে ফিরতে হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটা একক নাটকেও অভিনয় করেছি। নতুন দুইটা ওয়েব সিরিজে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। একটা রায়হান রাফির, অন্যটার কথা এখনই বলা যাবে না।
বর্তমানে উত্তরায় একটি নাটকের শুটিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাভেল।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার ৯’র মাধ্যমে শোবিজে পা রাখেন পাভেল। মঞ্চের কৌতুক অভিনেতা থেকে পাভেল এখন পুরোদস্তুর অভিনেতা। বিশেষ করে কাজল আরেফিন অমির ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’র মাধ্যমে সর্বসাধারণের কাছে জনপ্রিয়তার সূচনা হয় তার।