1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
মিনিকেট চাল নিম্নমুখী, সবজির দামে উত্তাপ - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৩:৩৫ অপরাহ্ন

মিনিকেট চাল নিম্নমুখী, সবজির দামে উত্তাপ

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : শনিবার, ১০ মে, ২০২৫
  • ২০ 0 বার সংবাদি দেখেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক // নতুন মৌসুমের চাল ওঠায় বাজারে মিনিকেটের দাম কমতে শুরু করেছে। গত দুই সপ্তাহে ধরনভেদে এই চালের দাম কেজিতে ১২ টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে মাঝারি ও মোটা চালের দাম অনেকটা অপরিবর্তিত রয়েছে। অন্যদিকে সবজির দাম কেবল বাড়ছেই। এতে তরিতরকারি কিনতে পকেটের ওপর চাপ আগের চেয়ে বেড়েছে। কিনতে হচ্ছে হিসাব করে।

রাজধানীর চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, রশিদ থেকে শুরু করে ডায়মন্ড, মঞ্জুর ইত্যাদি ব্র্যান্ডের নতুন মিনিকেট চাল কেজিপ্রতি ৭৪ থেকে ৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগেও এই চালের কেজি ৮৬ থেকে ৯০ টাকার আশপাশে ছিল। তবে পুরনো মিনিকেট চালের দাম এখনও বেশিই রয়েছে। অন্যদিকে মাঝারি ও মোটা চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ানবাজারের চালের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, সরু চালের দাম; বিশেষ করে মিনিকেট বলে পরিচিত চালের দাম অনেকটা কমেছে। মিলগেটেই কমে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু অন্য চালের বাজার একই রয়েছে। আগামীতে হয়তো সেগুলোর দামও কমতে পারে।

এদিকে নিম্ন ও সীমিত আয়ের ভোক্তাদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সবজির বাজার। পছন্দের তরিতরকারি কিনতে আগের চেয়ে অনেক বেশি খরচ করতে হচ্ছে তাদের। ফলে বাজেটের মধ্যে বাজার সারতে অনেকে কম করে কিনছেন কিংবা কিনছেনই না।

রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৭০ টাকার নিচে পছন্দের সবজি মিলছে না। কাঁকরোল ৯০ থেকে ১২০, ঝিঙা ৮০ থেকে ৯০, কচুরমুখী ১০০, করলা ৮০, পটোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। সজনে ডাঁটার কেজি ১৫০ টাকার আশপাশে। চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। প্রতি পিস লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা ও চালকুমড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা। দেশি শসার কেজি ৮০ টাকা। বেড়েছে টমেটোর দামও। কেজি এখন ৫০ টাকায় ঠেকেছে। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। অন্যান্য সবজির দামও চড়া।

মালিবাগ বাজারের ক্রেতা মো. ইফতেখার উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন কমবেশি তরিতরকারি খাওয়া হয়। মাছ-মাংসের যে দাম, তাতে সেগুলো প্রতিদিন খাওয়া সম্ভব নয়। এখন সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় তরিতরকারিও কিনতে হচ্ছে হিসাব করে। সবজির দাম যদি এতটা বাড়ে, তাহলে তো টিকে থাকাটাই মুশকিল।

এই বাজারের একজন সবজি বিক্রেতা জানান, অনেক সবজির মৌসুম শেষ। আবার গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ এখনও বাড়েনি। সব মিলিয়ে সরবরাহ কম থাকায় বাজার চড়া।

অন্যদিকে এখনও চড়া দামে আটকা রয়েছে পেঁয়াজ। প্রতিদিনের রান্নায় দরকারি মসলাজাতীয় এ পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত। আলুর কেজি ২৫ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। তবে কোথাও কোথাও পাল্লা হিসাবে (৫ কেজি) কিনলে প্রতি পাল্লা ৯০ টাকাতেও পাওয়া যাচ্ছে। আর মুরগির বাজারে এখনও উত্তাপ বিরাজ করছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা এবং ধরনভেদে সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ফার্মের বাদামি ডিম ডজনে ৫ টাকা বেড়ে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা হয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ