আজ বুধবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৮ উইকেটে জেতে আবাহনী। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা পারটেক্সকে মাত্র ১০০ রানে অলআউট করে ১৪.৩ ওভারে জিতে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচ জিতল আবাহনী। আর চার ম্যাচে পারটেক্সের এটি তৃতীয় হার।
অথচ এর আড়ে একই মাঠে ইতিহাস গড়ে ৪২২ রান করেছিল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। কিন্তু পরের দুই ম্যাচে চার ইনিংস মিলিয়েও হলো না সাড়ে তিনশ রান। তৃতীয় রাউন্ডে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৬৯ রানে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।
মাহফুজুর রহমান রাব্বি বাঁহাতি স্পিনে পারটেক্সের ইনিংস বড় হতে দেননি। তরুণ এই অলরাউন্ডার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৯ ওভারে ২ মেডেনসহ ১৮ রানে ৫ উইকেট নেন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটিই তার প্রথম ৫ উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই রবিউল ইসলাম রবির উইকেট হারায় পারটেক্স। সাব্বিরকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৫ রানের জুটি গড়েন জয়রাজ। রকিবুল হাসানের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন ৪৪ বলে ২৩ রান করা সাব্বির। এরপর মাহফুজুর রাব্বির ঘূর্ণিতে মাত্র ১৫ রানের মধ্যে ৭ উইকেটের পতনে খেই হারিয়ে ফেলে পারটেক্স। ২১তম ওভারে জয়রাজ ও রুবেলকে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার। দলের সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন জয়রাজ।
মাহফুজুর রাব্বির পরে ৩১তম ওভারে শিকার তানভির হোসেন ও মোহর শেখ। শেষ দিকে আদিল বিন সিদ্দিকের ১৩ রানে একশ স্পর্শ করে পারটেক্স।
মাহফুজুর রাব্বির ৫ উইকেট ছাড়াও ২টি করে উইকেট নেন রকিবুল ও মোসাদ্দেক।
জিসান আলম ও মুমিনুল হক রান তাড়ায় অল্পে ফেরেন। তবে এরপর আর উইকেট পড়তে দেননি পারভেজ ও মোসাদ্দেক। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে মাত্র ৫৬ বলে ৮০ রান যোগ করেন দুই ব্যাটসম্যান। ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫০ বলে ৫৬ রান করেন পারভেজ। লিগের চার ম্যাচে এটি তার তৃতীয় পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস। অন্য ম্যাচে বাঁহাতি ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান। বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ শেষ করা মোসাদ্দেক খেলেন ২৭ বলে ৩৭ রানের ইনিংস।