
আন্তর্জাতিক ডেস্ক // সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর অঞ্চলের আল-ফাশির শহরে শুক্রবার ফজরের নামাজ চলাকালীন একটি মসজিদে ড্রোন হামলায় অন্তত ৭৮ জন নিহত এবং প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। হামলার জন্য প্যারামিলিটারি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ)-কে দায়ী করা হলেও তারা এখনো এ ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেনি।
দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে সুদানের আরএসএফ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘাত চলছে। সম্প্রতি আরএসএফ আল-ফাশির শহর দখলের চেষ্টা জোরদার করেছে। শহরটি দারফুরে সেনাবাহিনীর শেষ ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে তিন লাখের বেশি বেসামরিক নাগরিক এই লড়াইয়ে আটকা পড়েছেন।
ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আরএসএফ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা, সহ উদ্বাস্তুদের ক্যাম্প এবং জয়েন্ট ফোর্সেসের সদরদপ্তরে তাদের নিয়ন্ত্রণ বিস্তার করেছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, শহরটি পুরোপুরি দখল করলে আরএসএফ জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন চালাতে পারে। ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা অনারব সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা করছে।
এই হামলার প্রেক্ষাপটে আল-ফাশিরের পতন হলে, সুদানের পশ্চিমাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে পারে, যা দেশকে কার্যত দুটি অংশে বিভক্ত করবে। হিউম্যানিটারিয়ান গবেষকরা সতর্ক করে বলেছেন, সহায়তা না পেলে সামরিক বাহিনী খুব শিগগিরই শহরটি হারাতে পারে।
এ পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপ থেকে হতাহতদের উদ্ধার কাজ চলছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সুদানের এই সংঘাতের দ্রুত সমাধান এবং বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাপ বাড়াচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি