যদিও গতকাল মঙ্গলবার রাতে হল ত্যাগ না করার ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আজ সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার নিরাপত্তাজনিত কারণে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কুয়েট প্রশাসন। একই সঙ্গে বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আজ ভোর থেকেই ভারী ব্যাগ এবং অন্যান্য জরুরি সরঞ্জাম নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী হল ছাড়ছেন। তারা জানান, কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মানতেই তারা ক্যাম্পাস ছাড়ছেন। তবে তাদের দাবি আদায়ের লড়াই বহাল থাকবে।
হল ত্যাগ করা শিক্ষার্থীরা আরও জানান, ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষার্থী হল থেকে বের হয়ে গেছেন, বাকিরাও হল ত্যাগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কয়েক দিন পর রমজান মাস শুরু, তখন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে যে কারণেও অনেকে চলে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এসব শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের পর থেকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে। সংঘর্ষের পর থেকে শিক্ষার্থীরা ভিসি, প্রো-ভিসির অপসারণসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থার মধ্যে গতকাল ভিসির বাসভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৯তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় সার্বিক নিরাপত্তার কারণে বুধবার সকাল ১০টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর্বার বাংলা পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় তারা হল না ছাড়ার ঘোষণা দেন।