নিউজিল্যান্ডের ভারতের মাটিতে সব মিলিয়ে এটি তৃতীয় টেস্ট জয়। এর আগে ভারতের মাটিতে সর্বশেষ তারা টেস্ট জিতেছে ১৯৮৮ সালে। আর ভারতের মাটিতে তারা প্রথম টেস্ট জিতেছিল ১৯৬৯ সালে।
ব্যাঙ্গালুরুতে এই টেস্টে নিউজিল্যান্ড আবার ভারতকে প্রথম ইনিংসে বেশ লজ্জাই দিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে রোহিত-কোহলিরা মাত্র ৪৬ রানে অলআউট হয়। যা দেশের মাটিতে সর্বনিন্ম ইনিংসের রেকর্ড।
নিউজিল্যান্ডের শনিবার ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস ৪৬২ রানে শেষ হওয়ায় শেষ দিন জয়ের জন্য দরকার ছিল ১০৭ রান। যেখানে দিনের দ্বিতীয় বলেই সফরকারী দলের অধিনায়ক টম লাথামকে শূন্য রানে আউট করেন জসপ্রিত বুমরাহ। দিনের শুরুতে উইকেট পেয়েও চাপ ধরে রাখতে পারেননি ভারতীয় বোলারেরা। নিউজিল্যান্ডের অপর ওপেনার ডেভন কনওয়ে এবং তিন নম্বরে নামা উইল ইয়ং সাবলীল ভাবে এগিয়ে নিয়ে যান দলের ইনিংস। ইনিংসের ১৩তম ওভারে কনওয়েকে (১৭) আউট করে প্রতিপক্ষ শিবিরে আবার আঘাত হানেন বুমরাহ। তাতেও লাভ হয়নি। রাচিন রবীন্দ্র জুটি বাঁধেন ইয়ংয়ের সঙ্গে। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে তারা দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন। সাবলীল ভাবে দলের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান তারা।
ভারতীয় বোলার মোহাম্মদ সিরাজ, রবীন্দ্র জাদেজা নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের তেমন সমস্যায় ফেলতে পারেননি। তবু কিছুটা বিস্ময়কর ভাবে দলের দুই প্রধান স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং কুলদীপ যাদবকে প্রথম দেড় ঘণ্টায় আক্রমণেই আনলেন না রোহিত। স্পিনের বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের প্রায় সব ব্যাটারেরই দুর্বলতা রয়েছে। তাও রোহিত কুলদীপকে প্রথম আক্রমণে আনেন ইনিংসের ১৯তম ওভারে।
ততক্ষণে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ২২ গজের সঙ্গে মানিয়ে নেন ইয়ং এবং রাচিন। ফলে কুলদীপও বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে সিরিজের প্রথম টেস্টে দলকে জেতালেন দুই কিউয়ি ব্যাটার। রাচিন ব্যাট করলেন এক দিনের ম্যাচের মেজাজে। নিউজিল্যান্ড যখন জয় থেকে মাত্র ১০ রান দূরে, তখন অশ্বিনকে প্রথম বার আক্রমণে আনলেন রোহিত!
ইয়ং শেষ পর্যন্ত ৪৮ এবং রাচিন ৩৯ রানে অপরাজিত থাকলেন। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে উঠল ৭৫ রান। ভারতের পক্ষে উইকেট পেলেন শুধু বুমরাহ। তিনি ২৯ রান খরচ করে ২ উইকেট নিলেন। প্রথম টেস্ট হেরে তিন টেস্টের সিরিজে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ল ভারত।