1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. thelabpoint2022@gmail.com : Rifat Hossain : Rifat Hossain
এক সভাপতি’র দুরদর্শী কর্মকান্ডে পাল্টে যাচ্ছে বিদ্যালয়ের চিত্র ! - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৪২ অপরাহ্ন

এক সভাপতি’র দুরদর্শী কর্মকান্ডে পাল্টে যাচ্ছে বিদ্যালয়ের চিত্র !

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫১ 0 বার সংবাদি দেখেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের উন্নীতের নেপথ্যে বড় ভুমিকা পালন করে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ। দায়িত্বপ্রাপ্তদের অগ্রসর ভুমিকা পালনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠান সমাদৃতের পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ অর্জনের দ্বারপ্রান্তে পৌছায় অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরাও। যার প্রভাব দেশের উন্নয়নে সম্মুখভাবে সহায়তা করে। আর এমনি এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠছে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায়। প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে উপজেলার কানুদাসকাঠী নলবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়। একজন দুরদর্শী ও সমাজসেবকের দায়িত্বশীল ভুমিকায় গত ৮ মাসে বিদ্যালয়ে ইতিবাচকভাবে চিত্র বদলে গেছে। নানাবিধ ব্যতিক্রমী ইতিবাচক কর্মধারা ও পরিকল্পনায় ক্রমেই সমাদৃত হচ্ছে এ প্রতিষ্ঠানটি।

জানা গেছে, চলতি বছর এ বিদ্যালয়ে সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান তসলিম। তিনি শুধু উপজেলায় নয় পুরো জেলাজুড়েই একজন মানবিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে সু-পরিচিত। এবারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও তার পদচারনায় মানবিকতা ও দুরদর্শীতার প্রভাবে পর্যায়ক্রমে প্রতিষ্ঠানটি সর্বোচ্চ শীর্ষ পর্যায়ের উন্নীতের ন্যায় প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত হচ্ছে। এর মধ্যে দুরদর্শীতার অংশ হিসেবে যুক্ত রয়েছে মানবিক এই ব্যক্তির বিদ্যালয়ে ব্যাতিক্রমী নানাবিধ পদক্ষেপ। যার মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুফল ভোগের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতিবাচক কর্মকান্ডের এক অনন্য মডেল হিসেবে ক্রমেই রুপ নিচ্ছে।

প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা জানান, সভাপতি হিসেবে মনোনীতের পর থেকেই বিদ্যালয় উন্নীতের একাধিক ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন মিজানুর রহমান তসলিম। এরই অংশ হিসেবে বিদ্যালয়টিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সেশন চার্জ, প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট বিল নিজ তহবিল থেকে পরিশোধ করে যাচ্ছেন তিনি। যা অন্য কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতির মাধ্যমে দেখা যায়না।

এছাড়া ভাল ফলাফলে গ্রহণকৃত ব্যতিক্রমী পদক্ষেপে শতভাগ শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিতিও নিশ্চিত করেছেন নতুন এই সভাপতি। শিক্ষার্থীরা বাসায় পড়াশুনা করছে কিনা, এটি নিশ্চিতেও প্রায়সময়ই নিজে হোমভিজিট করে যাচ্ছেন তিনি । এদিকে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তা-ঘাট ও বাজারসহ বিভিন্নস্থানে শিক্ষার্থীদের আড্ডাও স্থানীয় ও শিক্ষকদের সাথে নিয়ে বন্ধ করেছেন তিনি।

তারা আরও জানান, মানবিকতার পাশাপাশি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সঠিক ধর্মীয় শিক্ষা ও সু-সন্তান হিসেবে গড়ে তুলতেও সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সভাপতি । যার ধরুন প্রত্যেক মুসলিম শিক্ষার্থীদের ক্লাসে মাথায় টুপি, নিয়মিত নামাজ আদায় ও মেয়েদের হিজাব নিশ্চিত করেছেন তিনি। এছাড়া ছাত্ররা মাথার চুলও বড় রাখতে পারছে না ।

এদিকে নয়া সব ইতিবাচক কর্মকান্ড বাস্তবায়নে অভিভাবক মহলেও প্রশংশিত হচ্ছেন নতুন সভাপতি মিজানুর রহমান। যার অংশ হিসেবে সচেতন একাধিক অভিভাবকরা জানিয়েছেন, নতুন সভাপতি দায়িত্বের ৮ মাসের মধ্যে সন্তানদের মধ্যে অভুতপুর্ব পরিবর্তন এসেছে। সন্তানরা নিয়মিত ক্লাসে যাওয়াসহ বাসায়ও পড়াশুনায় মনোযোগী হয়েছে। এছাড়া ক্লাস ফাঁকি দিতে পারছে না। এর মাধ্যমে আমাদের সন্তানরা প্রকৃত শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি ভাল ফলাফল ও সু-নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

এছাড়া নানান ইতিবাচক কার্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকরাও সভাপতিতে সব উন্নয়ণমূলক বিষয়ে পাশে থাকার পাশাপাশি তার ওপর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ