পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ইস্টার্ন গেট এলাকা থেকে এসআই সুকান্ত দাসকে মারধর করে খানজাহান আলী থানা-পুলিশের কাছে তুলে দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। রাতেই তাকে ছেড়ে দেয় খানজাহান আলী থানা-পুলিশ।
এসআই সুকান্তের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর নিপীড়ন ও গণগ্রেপ্তার চালানোর অভিযোগ ছিল। অভ্যুত্থানের পর তার বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা হয়।
পুলিশের কাছে হস্তান্তরের পরও এসআই সুশান্ত দাশকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার দুপুর থেকে কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে তারা কেএমপি সদর দপ্তরের ফটকে তালা ঝুঁলিয়ে দেয়। রাত সাড়ে ৯টায় ছাত্ররা চলে গেলে তালা ভেঙে কার্যালয় থেকে বের হন পুলিশ কর্মকর্তারা।
আজ বিকেল ৩টা থেকে ফের কেএমপি সদর দপ্তর ঘেরাও করেছে ছাত্র-জনতা। এ বিপোর্ট লেখা পর্যন্তকর্মসূচি চলছিল। তারা এখন পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, সুকান্তকে খুলনায় আনা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় একটি এবং আদালতে একটি মামলা রয়েছে।