
মো:রাকিব জোমাদ্দার মহিপুর // পটুয়াখালী বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের সমুদ্র, উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক সময়ে উপকূলীয় এলাকায় অবৈধ ট্রলিং বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে সংস্থাটি। কোস্ট গার্ড জানায়, কিছু অসাধু জেলে ও ব্যবসায়ী অবৈধভাবে ট্রলিং জাহাজ ও ট্রলিং জাল ব্যবহার করে মাছ ধরছে, যা সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য ধ্বংস, মাছের প্রজনন ব্যাহত এবং স্থানীয় জেলেদের জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। মৎস্য অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী ৪০ মিটারের কম গভীরতায় ট্রলিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও অনেকেই এই আইন অমান্য করছে। অবৈধ ট্রলিংয়ের কারণে প্রবাল, সামুদ্রিক ঘাস ও কোরাল রিফ ধ্বংস হয়ে সামুদ্রিক ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে ভবিষ্যতে বঙ্গোপসাগরে মাছের ঘাটতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরকারি মৎস্য নীতিমালা অনুযায়ী, মাছের প্রজনন ও সামুদ্রিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এই সময়কাল জুড়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড নিয়মিত ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৮৩টি অবৈধ ট্রলিং জাহাজ জব্দ করেছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কোস্ট গার্ডের নিয়মিত অভিযানের ফলে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের মজুদ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। সংস্থাটি দেশের সুনীল অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে এবং উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী অঞ্চল সুরক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক, কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা, জানান— ভবিষ্যতেও অবৈধ ট্রলিং বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে