নিজস্ব প্রতিবেদক // ভারত থেকে আলু আমদানির খবরে কমতে শুরু করেছে দেশি আলুর দাম। কেজিপ্রতি প্রকারভেদে কমেছে ২ থেকে ৩ টাকা।
বর্তমানে দেশি বড় জাতের আলু ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় এবং দেশি ছোট জাতের আলু ৪৮ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বন্দরের মোকামে ভারতীয় আলু ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
ভারত থেকে কম শুল্কে আলু আমদানির কারণে কমতে শুরু করেছে দাম বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে হিলির কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। হিলিতে আলু কিনতে আসা মানিক মিয়া বলেন, আমি হিলিতে ভারতীয় আলু কিনতে এসেছি।
কিন্তু এসে দেখলাম ভারতীয় আলু বাজারে নেই। তবে দেশি আলুর দাম কিছুটা কমেছে। যার জন্য দেশি আলুই কিনলাম কিন্তু ভারত থেকে আলু এলেও তেমন দাম কমেনি দেশি আলুর।
দেশি আলুর দাম যদি ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে থাকত তাহলে আমাদের সাধারণ মানুষের অনেক উপকার হতো। কিন্তু বাজারে সব জিনিসপত্রের দামই চড়া। সাধারণ মানুষের সংসার চালাতে কষ্টকর হয়ে পড়ছে। এজন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা দরকার।
হিলি বাজারের আলু বিক্রেতা রায়হান হোসেন বলেন, বুধবার ভারত থেকে দুই ট্রাক আলু আমদানি হয়েছে। সেসব আলু আমরা কিনতে পারিনি।
স্থলবন্দরে যাওয়ার আগেই বিক্রি হয়ে যায়। তবে দেশি আলু প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এমনকি দামও কিছুটা মোকামে কমেছে। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি। তবে আগের থেকে ক্রেতা অনেক কম।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু হয়েছে। বর্তমানে প্রতি মেট্রিক টন আলু আমদানি হচ্ছে ১৮০ মার্কিন ডলারে।
সেই সঙ্গে ১৫ শতাংশ শুল্ক থেকে ৩ শতাংশ শুল্কে আলু আমদানি হচ্ছে। ভারত থেকে এই সব আলু ১৫ থেকে ২০ টাকা রুপি দিয়ে কিনতে হচ্ছে আমদানিকারকদের।
সব খরচ মিলে বন্দরে বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা দরে। তবে আমদানি যদি বৃদ্ধি হয় তাহলে দাম অনেকটাই কমে যাবে বলেও জানান তিনি।
হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী ইউসুফ আলী বলেন, হিলি স্থলবন্দরের ১৬টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ২২ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছে। এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।