ঢাকায় ফিরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ে যান এলজিআরডি উপদেষ্টা। এ সময় আরও ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
নিজ মন্ত্রণালয়ের পুড়ে যাওয়া কার্যালয় দেখে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সেখানে উপস্থিত এম সাখাওয়াত হোসেনকে বলেন, ‘আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে।’ এ সময় আসিফ মাহমুদকে সান্ত্বনা দেন এম সাখাওয়াত হোসেন।
এ সময় আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া আরও বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। আমাদের (সরকার) ব্যর্থ করার এই ষড়যন্ত্রে যে বা যারাই জড়িত থাকবে, তাদের বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না।’
আগুনে সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনের ৬ থেকে ৯ তলা পর্যন্ত চারটি ফ্লোর পুড়ে গেছে। এতে পাঁচ মন্ত্রণালয়ের সব নথি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে পুড়ে যাওয়া ভবনটিতে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
ছাই হয়ে যাওয়া ফ্লোরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ছিল। এসব মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সব নথি, কম্পিউটারসহ সবকিছু এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
জানা গেছে, এ ভবনের ৬ তলায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। ৭ম তলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। ৮ম তলায় রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের কিছু অংশ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কিছু অংশ। আর ভবনটির নয় তলায় রয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এ চারটি তলা পুরো পুড়ে গেছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি কক্ষের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এদিকে আগুন নেভার পর পুরো ভবনটি ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছাড়া কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। পুড়ে যাওয়া অংশ থেকে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সচিবালয়ের ভেতরে টহল দিচ্ছেন সেনা সদস্যরা।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার দিবাগত রাত ২টার কিছু আগে এ ভবনে আগুন লাগে। দীর্ঘ প্রায় ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন পুরোপুরি নেভাতে সময় লাগে ১০ ঘণ্টা।