জয়পুরহাট সদরে ইটভাটার ধোঁয়ায় ২০০ বিঘা জমির ধানক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।
রোববার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে জয়পুরহাট-হিলি-পাঁচবিবি সড়ক অবরোধ করে তার এ বিক্ষোভ করেন। এতে প্রায় আধা ঘণ্টা ওই সড়কে যানচলাচল বন্ধ ছিল। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) আশ্বাসে তারা অবরোধ তুলে নেন।
রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা পুরানাপৈল রেলগেট এলাকায় জড়ো হন। তারা বিকেল ৫টায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে জয়পুরহাট-পাঁচবিবি সড়ক বসে পড়েন। খবর পেয়ে ইউএনও, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, পুরানাপৈল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে ইউএনওর আশ্বাসে কৃষকেরা সড়ক ছেড়ে দেন। এরপর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কৃষক বেলাল হোসেন, মিরাজুল, আজাদুল ও একরামুলসহ কয়েকজন বলেন, বেলায়েত হোসেন লেবুর অবৈধ ইট ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় প্রতিবছর আমাদের ফসলের ক্ষতি হয়। আমাদের দাবি ফসলের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। সেইসঙ্গে এই ভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসন দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিক।
পুরানাপৈল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আরমান আলী বলেন, এলাকায় প্রায় ২০০ বিঘা বোরো ধানক্ষেত ও এক একর কলার বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে কৃষকেরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমরাও চাই এই ভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসন দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিক।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাফসিয়া জাহান বলেন, মাঠের ধানক্ষেত পরিদর্শন করেছি। ইটভাটার গরম ধোঁয়ায় বোরো ধানক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি।
জয়পুরহাট সদরের ইউএনও মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা ও ক্ষতির কারণ নির্ণয় করবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইটভাটার মালিক বেলায়েত হোসেন জানান, তার ইটভাটার কারণে ধানক্ষেত নষ্ট হয়েছে বলে কৃষকদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি শুনেছেন। তাকে পরিবেশের লাইসেন্স আছে কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।