
সিকদার মোহাম্মদ শাকুর,কলাপাড়াঃ কলাপাড়া পৌর শহর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন নেতৃত্ব নিয়ে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। আসন্ন পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে ঘিরে ছাত্রদলের পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে কাজ করছে নানা উৎসাহ উদ্দীপনা। কলাপাড়া পৌর ছাত্রদলের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে এরমধ্যে অনেকেই কেন্দ্র ও জেলার দায়িত্বশীলদের কাছে বিভিন্ন ভাবে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তবে পদ প্রত্যাশীদের ভাষ্য, যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে যোগ্য ও সৎ ব্যক্তিদের হাতেই ছাত্রদলের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হবে বলে মনে করেন ছাত্রদল কর্মীরা। সংগঠনটির একাধিক পদ প্রত্যাশীর সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানা যায়। তবে সভাপতি পদে পদ প্রত্যাশীর তালিকা সাধারণ সম্পাদক পদের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি রয়েছে। অধিকাংশ সাবেক ছাত্রদল নেতা সবাই সভাপতির পদ পেতে চান। গুটি কয়েকজন নেতা সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সভাপতি হিসেবে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রথম পছন্দের প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কলাপাড়া পৌর ছাত্রদলের বর্তমাম সদস্য সচিব সিকদার মোহাম্মদ জুয়েল ইকবাল। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মতে, সভাপতি পদে একজনকে বাছাই করলেও প্রার্থী হতে কোনো দোষ নেই। জানা যায়,২০২০ সনের ডিসেম্বর মাসে কলাপাড়া পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদল। এতে সদস্য সচিব করা হয়েছিলো সিকদার মোহাম্মদ জুয়েল ইকবাল কে। সভাপতি পদে এখন পর্যন্ত কয়েক জনের নাম শোনা গেলেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রথম পছন্দের প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কলাপাড়া পৌর ছাত্রদলের বর্তমান সদস্য সচিব সিকদার মোহাম্মদ জুয়েল ইকবাল। সভাপতি পদে দৌড়ে এগিয়ে থাকা সিকদার মোহাম্মদ জুয়েল ইকবালকে দমাতে কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বে একাধিক বার হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছিলেন। ব্যথার যন্ত্রনা ঘাড়ে নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে কাটিয়েছেন এই ছাত্র নেতা। ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জীবনকে বাজি রেখে আন্দোলন করেছেন। তৎকালীন সময় গ্রেফতারের ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটিয়ে দলের স্বার্থে পরিবার থেকে ছুটে থাকতেন এদিক সেদিক। গত বছরের ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর এলাকায় স্বাচ্ছন্দ্যবোধে থাকার সৌভাগ্য হয় এই জুয়েল ইকবালের। শুধু মাত্র ছাত্রদলের রাজনীতি করার অপরাধে জুয়েল-ই নয় তার পুরো পরিবার পুলিশ ও ছাত্রলীগ দ্বারা অনেক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, জেল খেটেছেন কয়েক বার । একটি সূত্র জানান তৎকালীন সময় স্বৈরা শাসকের ভয়ে সাহস করে কমিটি নেয়ার জন্য অনেকই আসেনি। দলের দুঃসময়ে জীবনকে বাজি রেখে রাজপথে আন্দোলন করার জন্য যাদের মন মানসিকতা ছিলো তাঁরাই তখন কমিটি পেয়েছে। কমিটির মেয়াদ দীর্ঘ সময় হলেও নেতৃত্বে তখন জোয়ার হয়নি। ৫ আগস্টের পর স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালানোর পর, ছাত্রদলের তকমা লাগিয়ে গা ভাসাচ্ছেন অনেকেই, এতে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক ত্যাগী ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। এখন কমিটির পিছনে দৌড়াচ্ছেন অনেকে। এ বিষয়ে কলাপাড়া পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও সভাপতি পদ প্রত্যাশী সিকদার মোহাম্মদ জুয়েল ইকবাল বলেন, দুর্দিন থেকেই ছাত্রদলের পতাকা তলে থেকে ছাত্র রাজনীতি করেছি, রাজনীতি করতে গিয়ে লেখাপড়া, ব্যবসা, পরিবার সহ অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হয়েছে। শারীরিক মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি তারপরও দল ছেড়ে কোথাও যাইনি। আসন্ন কলাপাড়া পৌর ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে আমাকে সভাপতি পদ দেয়া হলে পৌর শহর ছাত্রদলের প্রতিটি ইউনিট শক্তিশালী করব। এবং ১১৩ পটুয়াখালী – ৪ আসনের সাংসদ সদস্য পদপ্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপি’র প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারফ হোসেনের হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে।