মো:রাকিব জোমাদ্দার কলাপাড়া, (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি // পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকত, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি। যেখানে প্রতিদিনই সমাগম হয় হাজার হাজার পর্যটকের। তবে সন্ধ্যার পরে সৈকতে শুরু হয় জমজমাট যৌন ব্যবসা। গতকাল (১১ ফেব্রুয়ারি) সোমবার সন্ধ্যার পরে সৈকত এলাকায় দেখা যায় পতিতা নারীদের একটি চক্র। এরা খদ্দেরের আশায় সৈকতে এলাকায় হাঁটাহাঁটি করে। খদ্দেররা এসে দরদাম ঠিক করে চলে যায় হোটেল রুমে। হোটেল রুমে নিয়ে শুরু হয় পর্যটকদের হয়রানি। ভয়-ভীতি দেখিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হয় টাকা পয়সা। এ যেন দেখার কেউ নেই, নিরব ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন। নাগরিক কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে প্রকৃতির কাছে ছুটে আসছে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকরা। একে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রভাবশালী ও প্রশাসনের ছত্রছায়ায় সৈকত এলাকায় ভাসমান যৌনকর্মীদের দৌরত্ম বৃদ্ধি পেয়েছে দিন দিন। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত সৈকত এর পূর্ব পাশের এলাকায় ১০ থেকে ১৫ জনের একটি নারী চক্রের আনাগোনা । সৈকতে ঘুরে ঘুরে খদ্দের জোগাড়ে নামে এসব যৌনকর্মীরা। সৈকতে ভ্রমনে আসা যুবক পর্যটক এদের মূল টার্গেট। নাম না প্রকাশের শর্তে এক ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী জানায়, সন্ধ্যা নামলেই সৈকতে পতিতাদের আনাগোনা দেখা যায়। ছাতা চেয়ারে বসে থাকা বিভিন্ন বয়সের পর্যটকদের নানা অঙ্গ ভঙ্গির মাধ্যমে আকৃষ্ট করে থাকে। এতে অনেক উঠতি বয়সের পর্যটকরা ছাতার নিচে বসে থাকা কোন যুবতী পর্যটকদের যৌনকর্মী ভেবে প্রস্তাব দেয়। এ নিয়ে কোন কোন সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এ বিষয়ে কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, কুয়াকাটা সৈকতে কিছু ভাসমান যৌনকর্মী রয়েছে। তবে তারা যাতে বীচে অবস্থান করতে না পারে এজন্য আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। কোন পর্যটক যাতে হয়রানির শিকার না হয় এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।