শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (জাতি) যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ও সমপর্যায়ের বিচারিক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন শেষে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে খালেদার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। এজন্য তাদের আবেদনের অপেক্ষায় আছি।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজায় কারাজীবন শুরু করেন খালেদা জিয়া। কারাগারে থাকাকালীন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলাতেও তার সাজার রায় হয়।
কারাগারে থাকার সময় করোনা শুরু হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। দণ্ডের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হলে তিনি কারামুক্ত হন। এরপর পাঁচ দফায় দুই বছর তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ থাকছেন। তার আর্থ্রারাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত সমস্যা রয়েছে। গত বছর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিয়েছেন।
সর্বশেষ গত ৩১ আগস্ট দুই দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করার অনুমতি করা হলেও দণ্ড স্থগিতের শর্তের কথা মনে করিয়ে দিয়ে সরকার তা নাকচ করে দেয়।
আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, শর্তসাপেক্ষে মুক্ত থাকা অবস্থায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রার আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই। তাকে কারাগারে ফিরে তবেই আবেদন করতে হবে।
সিআরপিসির ৪০১ (১) ধারায় বলা আছে, যখন কোনো ব্যক্তিকে অপরাধের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়, তখন সরকার যেকোনো সময় শর্ত ছাড়াই অথবা শর্তসাপেক্ষে শাস্তি স্থগিত করতে পারে অথবা তাকে যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তার পুরো বা যেকোনো অংশ স্থগিত করতে পারে।
শনিবার খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, তার পরিবার আবেদন করলে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিচারকদের উদ্দেশে আনিসুল হক বলেন, ঋণখেলাপিরা দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ঋণখেলাপিদের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। এছাড়া মামলার শুনানিতে ঋণখেলাপিদের অযৌক্তিক সময় দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলে ঋণ খেলাপের মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচার পেতে প্রতিদিন লাখো মানুষ আদালতের বারান্দায় ধর্না দিচ্ছেন। আপনাদের দ্রুত বিচার (রায়) দিয়ে তাদের দুঃখ দূর করতে হবে।
Leave a Reply