হাবিব সরকার স্বাধীন // রাজধানীর খিলক্ষেতের জামতলা এলাকায় বন্ধক দেওয়া একটি বাড়ি জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মকবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে । বৃহস্পতিবার আনুমানিক সকালে ১০ টায় ৪০ থেকে ৫০ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে চারতলা বাড়িটি দখল করেন মকবুল হোসেন হাওলাদার নামে প্রভাবশালী এক ব্যক্তি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মনিয়ার রহমান খিলক্ষেত থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত মকবুলের বাসা খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-২ এলাকায়।
খিলক্ষেত থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সমকালকে বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়। দুই পক্ষকে থানায় ডেকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভুক্তভোগী মনিয়ার রহমানের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়। বর্তমানে বসবাস করেন রাজধানীর উত্তরায়। ২০১৭ সালের এপ্রিলে মকবুল হোসেন হাওলাদারের জামতলা টানপাড়ার ১৪৩/৪ হোল্ডিংয়ের চারতলা বাড়িটি পাঁচ বছরের চুক্তিতে এক কোটি টাকায় বন্ধক নেন মনিয়ার রহমান। বাড্ডার তৎকালীন সাব-রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তি করা হয়।
চুক্তিতে বলা হয়, পাঁচ বছর পর মকবুল টাকা ফেরত দিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে নেবেন। তবে নির্ধারিত সময় পার হলে ওই টাকা ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত বাড়িটি মনিয়ারের ভোগ দখলেই থাকবে- চুক্তিনামায় এমন কথাও বলা আছে। বন্ধক নিয়ে মনিয়ার রহমান বাড়িটি ভাড়া দিয়েছেন। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২২ সালে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও মকবুল তা দিতে না পারায় বাড়িটি মনিয়ারের ভোগদখলে ছিল। জানা গেছে, টাকা ফেরত না দিয়ে হঠাৎ করে মকবুল বাহিনী নিয়ে হঠাৎ অকাঙ্খিত হামলা চালায়। ভুক্তভোগী স্থানীয় ও ভাড়াটিয়ারা ওপর হামলা চালিয়ে বাড়িটি দখলে নেন। ভাড়াটে বাসিন্দাদের ও দারোয়ানকে মারধর করা হয়। দারোয়ানের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা। এমনও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ভাড়াটেদের কাছ থেকে প্রি-পেইড মিটারের কার্ড ছিনিয়ে নেয়। একজন ভাড়াটের আসবাবপত্র বাইরে ফেলে দিয়ে ওই কক্ষে মকবুল অবস্থান নেন। এ সময় তার ছেলে মেহেদী হাসান ও স্ত্রী সেখানে ছিলেন।
ভুক্তভোগী মনিয়ার প্রতিবেদককে বলেন ‘মকবুল তার বাড়ি নেবে, এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। তাকে সবসময় বলে আসছি, টাকা দিয়ে বাড়ি নিয়ে নেন। কিন্তু টাকা না দিয়েই বাড়ি জোরপূর্বক দখলে নিয়েছে। ভুক্তভোগী আরও বলেন এমন কর্মকাণ্ড মনে হচ্ছে দেশটা এখন মগের মুল্লুক জোর যার মুল্লুক তার। আইনশৃঙ্খলা প্রতি যথেষ্ট আমার আত্মবিশ্বাস রয়েছে সঠিক তদন্ত করে অবশ্য উনারা ব্যবস্থা নেবে। ঘটনার সত্যতার জন্য অভিযুক্ত মকবুল হোসেন হাওলাদারের মন্তব্য নেওয়ার জন্য তার মোবাইল ফোনে কল করলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।