1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
গভীর রাতে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন

গভীর রাতে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫
  • ১৬ 0 বার সংবাদি দেখেছে
বগুড়া প্রতিনিধি // বগুড়ায় গভীর রাতে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া সদরে সাবগ্রাম দক্ষিণপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, মা আনোয়ারা বেগম (৫৮) ও মেয়ে ছকিনা বেগম (৩৫)। হত্যাকাণ্ডে জড়িত হিসেবে ছকিনার দ্বিতীয় স্বামী রুবেল মিয়াকে সন্দেহ করছেন পুলিশ ও নিহতদের স্বজনেরা।

বগুড়া শহরের নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নাজমুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত ছকিনা বেগমের মামাত ভাই রবিউল ইসলাম জানান, প্রথম স্বামীর সঙ্গে তালাক হওয়ার পরে ৬ বছর আগে হাসনাপাড়া গ্রামের রুবেল মিয়ার সঙ্গে ছকিনার বিয়ে হয়। এরপর ছকিনা তার প্রথম পক্ষের সন্তান সাব্বিরকে সঙ্গে নিয়ে বগুড়া শহরের আকাশ তারা এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন। রুবেল মাদকাসক্ত এবং চুরির সঙ্গে জড়িত থাকায় ছকিনা তাকে তালাক দেন। এরপর ছকিনা তার মা আনোয়ারা বেগমকে গ্রাম থেকে নিয়ে এসে আলাদা বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। এক বছর আগে রুবেলের অনুরোধে ছকিনা আবারও তার সংসারে ফিরে যান। কিন্তু রুবেল তার স্বভাব পরিবর্তন না করায় ৬ মাস আগে আবারও দুইজনের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এদিকে মা-মেয়ে সাবগ্রাম দক্ষিণপাড়ায় দুই শতাংশ জায়গা কিনে সেখানে টিনের বাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করেন। এক মাস আগে ছকিনা তার প্রথম স্বামী বাদশা মিয়াকে বিয়ে করেন। বাদশা মিয়া তার গ্রামের বাড়ি সারিয়াকান্দি উপজেলার হাসনাপাড়া গ্রামে বসবাস করেন। রুবেল এ খবর জানতে পেরে ছকিনার উপর ক্ষুব্ধ হন।

ছকিনার ছেলে সাব্বির আহম্মেদ জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রুবেল বাড়িতে গিয়ে ছকিনাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। তাকে ছেড়ে দিয়ে প্রথম স্বামীকে বিয়ে করায় তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে সঙ্গে নিয়ে আসা রামদা দিয়ে কোপানো শুরু করেন। এ সময় আনোয়ারা বেগম মেয়েকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও কুপিয়ে রুবেল পালিয়ে যান।

পরে দুই জনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত দেড়টার দিকে ছকিনা মারা যান। পরে আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ছকিনার মা আনোয়ারা বেগমও মারা যান।

নারুলী পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক নাজমুল হক বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাড়ির পাশের বাঁশ ঝাড় থেকে রক্ত মাখা রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। ভোর ৫টা পর্যন্ত পুলিশের একাধিক দল রুবেলকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালিয়েও পাওয়া যায়নি। নিহত মা-মেয়ের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ