1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. ukbanglatv21@gmail.com : Kawsar Ahmed : Kawsar Ahmed
গাজীপুরে চিকিৎসককে অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেলেন - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:১২ অপরাহ্ন

গাজীপুরে চিকিৎসককে অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেলেন

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : রবিবার, ১২ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ১৯ 0 বার সংবাদি দেখেছে

গাজীপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আমিনুর রহমানকে (৪০) অপহরণের ৯ ঘণ্টা পর মুক্তি পান। শনিবার সন্ধ্যায় মাওনা চৌরাস্তায় মহাসড়কের পাশ থেকে তাকে অপরহণ করা হয়। রোববার (১২ জানুয়ারি) ভোরে গাজীপুরের হোতাপাড়া ও রাজেন্দ্রপুরের মাঝামাঝি স্থানে তাকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।

আমিনুর রহমান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায়।

আমিনুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, অপহরণকারীরা কয়েক দফায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়েছে। এ ছাড়া তাকে মারধর করে ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা, দুটি স্মার্টফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়েছে অপহরণকারীরা। ছাড়া পাওয়ার পর আমিনুর রহমানকে চিকিৎসার জন্য রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে।

আমিনুর রহমানের চাচাতো ভাই সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় একটি ক্লিনিকে প্র্যাকটিস করেন আমিনুর। গতকাল দুপুরে ঢাকা থেকে তিনি শ্রীপুরে যান। ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তাকে মাওনা চৌরাস্তায় মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় অপহরণ করা হয়। তার মুঠোফোন নম্বর থেকে পরিবারের সদস্যদের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। কথা বলা অবস্থায় তাকে মারধর করা হচ্ছিল। রাত ১১টা পর্যন্ত তিন দফায় মোট এক লাখ টাকা অপহরণকারীদের পাঠানো হয়েছে। কিছুক্ষণ পরপর অপহরণকারীরা টাকা দেয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। দিবাগত রাত ৩টা পর্যন্ত আরও ৩০ হাজার টাকা পাঠানো হয়। আজ ভোর ৪টার দিকে আহত অবস্থায় তাকে গাজীপুরের হোতাপাড়া ও রাজেন্দ্রপুরের মাঝামাঝি একটি স্থানে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় অপহরণকারীরা।

আমিনুর রহমানের স্ত্রী মোসা লুনা বলেন, অপহরণকারীরা তাঁর স্বামীকে মারধর করছিল। বারবার কান্না শুনিয়ে মুক্তিপণের টাকা দিতে চাপ দিচ্ছিল তারা। অপহরণের বিষয়ে তারা শ্রীপুর থানা ও র‍্যাবকে জানায়।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, ওই চিকিৎসকের পরিবারের পক্ষ থেকে অপহরণের ঘটনা জানানো হয়েছিল। আমরা তার মুঠোফোনের অবস্থান তিনটি জায়গায় শনাক্ত করেছিলাম। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান শুরু হয়েছিল। পরে ওই চিকিৎসক বাসায় ফিরেছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ