1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. thelabpoint2022@gmail.com : Rifat Hossain : Rifat Hossain
গৌরনদীতে পৌরসভার অব্যবস্থাপনায় ছড়াচ্ছে পরিবেশ দূষণ: জনদুর্ভোগ চরমে - বাংলার কন্ঠস্বর ।। Banglar Konthosor
মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরনাম :

গৌরনদীতে পৌরসভার অব্যবস্থাপনায় ছড়াচ্ছে পরিবেশ দূষণ: জনদুর্ভোগ চরমে

  • প্রকাশিত :প্রকাশিত : সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫
  • ৪৫ 0 বার সংবাদি দেখেছে

গৌরনদী প্রতিনিধি // দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত বরিশাল জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা গৌরনদী। অথচ এই এলাকার পরিবেশ বর্তমানে চরম দূষণের শিকার হচ্ছে পৌরসভার অব্যবস্থাপনার কারণে। পৌর কর্তৃপক্ষের নিয়মিত ময়লা অব্যবস্থাপনার অভাবে জনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর রাস্তার পাশে যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এতে করে একদিকে যেমন পরিবেশ দুষিত হচ্ছে, অন্যদিকে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি হয়েছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, যেমন ভূরঘাটা বাসস্ট্যান্ড, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নীলখোলা সরকারী প্রাইমারি স্কুলের ব্রিজের উত্তর ও পশ্চিম পাশে, গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশে, কসবা গরুর হাট সংলগ্ন এলাকায় পৌরসভার ট্রাকে করে ময়লা ফেলে রাখা হচ্ছে। এসব ময়লার মধ্যে রয়েছে গৃহস্থালির বর্জ্য, ক্লিনিক ও হাসপাতালের বর্জ্যসহ নানা রকম ক্ষতিকর উপাদান। গৌরনদী পৌরসভা মোট নয়টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। কিন্তু প্রতিটি ওয়ার্ডেই একই অবস্থা। সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোনো সু- নির্দিষ্ট স্থান বা পরিকল্পনা নেই। ফলে স্থানীয় জনগণ ভুগছেন তীব্র দুর্গন্ধ, মশা-মাছির উপদ্রব এবং নানা ধরনের পানিবাহিত রোগের ঝুঁকিতে। মহাসড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলার বিষয় গৌরনদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন যে ভাবে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে এতে করে পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতির সম্মুকীন হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের উচিত রাস্তার পাশে ময়লা না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলা। স্থানীয় ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রিন্স দেওয়ান বলেন, “আমাদের বাচ্চারা স্কুলে যাতায়াত করতে কষ্ট পায়। বাতাসে এমন দুর্গন্ধ ছড়ায় যে বাসায় থাকা দায় হয়ে পড়ে।” একই রকম ক্ষোভ প্রকাশ করেন পথচারী ৩০ বছর বয়সী হুমায়ুন কবির বলেন, “মনে হয় এই এলাকায় মানুষের বসবাস নেই। পৌরসভার লোকজন এমনভাবে ময়লা ফেলে রেখে যায় যে, আমরা বাধ্য হয়ে এই পরিবেশে বসবাস করছি। কোথাও অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।” পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সৈয়দ মাজারুল ইসলাম রুবেল বলেন , যেখানে পৌরসভার দায়িত্ব হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত করা, সেখানে তারাই পরিবেশ দূষণের অন্যতম উৎস হয়ে উঠেছে। যত্রতত্র ময়লা ফেলার কারণে বাতাসে ছড়াচ্ছে রোগজীবাণু, যা শিশু ও বয়স্কদের জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর। দীর্ঘমেয়াদে এ ধরনের বর্জ্য থেকে মাটি ও পানিও দূষিত হতে পারে। এছাড়া জনস্বাস্থ্য রক্ষায় পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দেওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান। গৌরনদী উপজেলা ছাত্র নেতা নুরুদ্দিন বুদ্দি বলেন যত্রতত্র ময়লা ফেলা হলে ডেঙ্গু, টাইফয়েড, আমাশয়, সর্দি-কাশিসহ নানা রোগের প্রকোপ বাড়ে। পৌর এলাকায় নিয়মিত স্যানিটেশন ব্যবস্থা, নির্ধারিত স্থান নির্ধারণ করে বর্জ্য ফেলার ব্যবস্থা, এবং বর্জ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার উদ্যোগ না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। এবিষয় গৌরনদী পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আরা মৌরি জনান। মহাসড়কের পাশে ময়লা ফেলার বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জাননাল খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ