
গৌরনদী প্রতিনিধি // বরিশালের গৌরনদীতে একের পর এক চুরির ঘটনা থামছেই না। দিন-রাত আতঙ্কে রয়েছেন টরকী বন্দরসহ গৌরনদীর ব্যবসায়ী ও সাধারণ বাসিন্দারা। গতকাল গভীর রাতে গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডের ঘয়নাঘাটা এলাকায় একটি মুরগির দোকানে চুরি হয়। এর আগে টরকী বন্দর স্কুল রোড পুলিশ ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত সজীব ক্লথ স্টোর নামের দোকান থেকে থ্রি-পিস ও নগদ টাকা নিয়ে যায় চোরচক্র। এছাড়া গত সপ্তাহে জুমার নামাজের সময় টরকী বন্দরের একটি মুদি দোকানের ক্যাশ ভেঙে নগদ টাকা নিয়ে যায় চোরেরা। একই সপ্তাহে দুটি মাদ্রাসায়ও চুরির ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি বার্থী ইউনিয়নে একাধিক চুরির ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কলেজ শিক্ষার্থী মাহামুদুর রহামন অভিযোগ করে বলেন বিকাল বেলায় আমার বাসা থেকে ভিভো ওআই টুয়েন্টি ওয়ান মোবাইল ফোন নিয়ে যার দাম প্রায় ১৮ হাজার টাকা। জিডি করেও উদ্ধার হয়নি আজও। সবচেয়ে আলোচিত ঘটনায়, টরকী বন্দর হাইস্কুল রোড এলাকায় এক প্রবাসী ও এক স্কুলশিক্ষকের মেয়ের বিয়ের জন্য রাখা প্রায় ১২ ভরি স্বর্ণালংকার বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে চোরচক্র নিয়ে যায়। এখনো সেই প্রাবাসী ও স্কুল শিক্ষকের স্বর্ণালংকার উদ্ধার হয়নি বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী প্রবাসীর স্ত্রী মিশরি ইসলাম। প্রতিনিয়ত এভাবে চুরির ঘটনা ঘটলেও গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ এখনো কোনো চোরকে গ্রেপ্তার করতে বা চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টরকী বন্দরের এক ব্যবসায়ী জানান, “আমার দোকানে চুরি হওয়ার পর কেবল ফরমালিটির জন্য থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা মোটরসাইকেলের তেলের খরচসহ টাকা দাবি করেন। তাই অনেক ব্যবসায়ী চুরি হলেও অভিযোগ করতে আগ্রহী হন না।” স্থানীয়দের অভিযোগ, বারবার চুরির ঘটনা ঘটলেও চোরচক্রকে আইনের আওতায় আনা যাচ্ছে না। পূর্ববর্তী চুরির ঘটনার কোনো সুরাহা না হওয়ায় ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করতেও নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। এ বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, আগের চেয়ে আমাদের পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। তবে কিছু নেশাখোরের উৎপাত বেড়েছে, স্বর্ণচুরির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী ও স্কুলশিক্ষকের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি।