গৌরনদী প্রতিনিধি // নয় বছরের শিশুকে ধর্ষনের পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার ঘটনায় ক্লুলেস মামলার সন্দেহভাজন তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি শেষে বিকেলে আদালতের নির্দেশে গ্রেপ্তারকৃতদের জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে। জবানবন্দিতে গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-উজিরপুর উপজেলার উত্তর মোড়াকাঠি গ্রামের হালিম বেপারীর ছেলে ইসমাইল বেপারী (২৪), গৌরনদীর বাটাজোর গ্রামের নজরুল খানের ছেলে সাকিব খান (১৯) ও দক্ষিণ পশ্চিমপাড়া গ্রামের সিদ্দিক সরদারের ছেলে লিটন সরদার (৩০)। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শরিফ উদ্দীন। উল্লেখ্য, গৌরনদী উপজেলার বাটাজ্যের ইউনিয়নের দক্ষিণ পশ্চিমপাড়া গ্রামের একটি ডোবা থেকে গত ২৪ ডিসেম্বর সকালে শিশু তাছলিমা আক্তারের (৯) লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তাছলিমা ওই গ্রামের সবুজ সরদারের মেয়ে এবং স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী ছিলো। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বাবা সবুজ সরদার জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বাড়ির পাশের কিশোর সরকারের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে শিশু তাছলিমা রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। গৌরনদী সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শারমিন সুলতানা রাখি জানিয়েছেন, সন্দিগ্ধ গ্রেপ্তারকৃত আসামি ইসমাইল বেপারী ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, মামলার ঘটনা সংক্রান্তে অন্যান্য জড়িত আসামিদের সনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।