গৌরনদী প্রতিনিধি // বরিশালের গৌরনদীতে ঋণের বোঝায় হতাশ হয়ে কীটনাশক পানে ছালাম সরদার (৩৭) আত্মহত্যা করেছে। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার বার্থী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সে (ছালাম) উপজেলার ওই গ্রামের মৃত মোসলেম সরদারের ছেলে ও বার্থী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। আত্মহননকারী ছালাম সরদারের সহোদর বড় ভাই মো. শাহ্আলম সরদার কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, আমার ভাই ধারদেনা করে বিদেশ গিয়ে তিনমাস পর দেশে ফেরত আসে। এরপর ভাতিজা সিয়াম সরদারের (৯) চিকিৎসায় প্রায় তিন লাখ টাকা ব্যয় করে। পরবর্তীতে ৩/৪টি এনজিও থেকে ৫ লক্ষাধিক টাকা লোন তুলে ধারদেনা পরিশোধ করেছে। কৃষক ভাই ছালাম সরদার বে-সরকারি এনজিওর ঋণসহ ৭/৮ লাখ টাকা দেনায় (লোনে) জর্জরিত হয়ে পড়ে। ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়ে ছালাম। ঋণের বোঝায় হতাশ হয়ে বুধবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে পরিবারের সদস্যদের চোখের আড়ালে ছালাম সরদার কীটনাশক পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে (ছালাম) উদ্ধার করে স্থাণীয়রা গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার পেট ওয়াশ করেন। অবস্থার বেগতিক দেখে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তাররা তাকে (ছালাম) বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। মুমূর্ষু অবস্থায় ছালামকে রাত দেড়টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গৌরনদী থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানান, খবর পেয়ে তিনি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের জন্য আত্মীয়-স্বজনসহ গ্রামবাসী বিক্ষোভ করেছে। তাই বিনা মযনা তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের জন্য স্বজনরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দপ্তরে আবেদন করলে অনুমতি পেয়ে বৃহস্পতিবার বাদআছর ছালামের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।