নিজস্ব প্রতিবেদক // ভোলার চরফ্যাশনে দোকান ভাড়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা সেনা কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি ও সেনাবাহিনীর সাবেক সার্জেন্ট মোঃ ইউনুছ, তার মেয়ে ও স্ত্রীর ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে এই হামলা চরফ্যাশন উপজেলার হাসপাতাল রোড এলাকার ৫ নাম্বার ওয়ার্ড ইউনিটের জামায়াতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাঈমুল ইসলাম ও জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে হয়েছে।
৩ রা মে শনিবার মোঃ ইউনুস সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতাল রোড মার্কেটে আমার ১২ টি দোকান রয়েছে এর মধ্যে ২ টি দোকান ২০২৪ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ১ বছরের জন্য স্ট্যাম্পে চুক্তিভিত্তিক ভাড়াটিয়া হিসেবে ভাড়া নেন অভিযুক্ত জামায়েত ইসলামের সাধারণ সম্পাদক দাবি করা নাইমুল ইসলাম ও জহিরুল ইসলাম।
কিন্তু বাড়ির যাতায়াত পথ না থাকায় ভাড়াটিয়া মোঃ জহিরুল ইসলাম এবং মো: নাঈম কে চুক্তির নির্ধারিত তারিখে দোকান ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেছি।
বাড়ির যাতায়াত পথ পরিস্কার রাখতে গত ২৭ শে জানুয়ারি অভিযুক্তদের কাছে এডভোকেটের মাধ্যমে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি।
সাবেক সেনা সদস্য মোঃ ইউনুস আরও বলেন, নোটিশ করার পরেও দোকান না ছাড়লে আমি ২ টি দোকানে তালা দিয়ে দেই। ঘরে তালা দেওয়ার কারণে গত ১লা মে বৃহস্পতিবার আমার পরিবারের ওপর হামলা করেন নাইমুল ইসলামের নেতৃত্বে জহিরুল ইসলামসহ ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী। এলোপাতাড়ি হামলায় আমার হাত ভেঙ্গে যায়। এছাড়াও আহত হয়েছে আমার মেয়ে হুমায়রা ও তার স্ত্রী। বর্তমানে তারা চরফ্যাশন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত জহিরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দোকান ঘরের মালিক ইউনুসকে ভাড়া দিয়ে আসছিলাম কিন্তু বর্তমানে সিদ্দিক মুন্সি নামে আরেকজন দোকানের ভাড়া দাবি করে এবং কোর্টে মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এখন ২ পক্ষ টাকা চায় আমি কাকে টাকা দিব এই কারণে বিষয়টি বাজার ব্যবসায়ী সমীতিকে জানিয়েছি তারা বলেছেন আলোচনায় বসে সমাধান করে দেবে। এর মধ্যে ইউনুস আমাদের দোকানে তালা মেরেছে। হামলা করার বিষয় অভিযুক্ত নাঈমুল ইসলাম বলেন, তাদের নামে যে অভিযোগ তা সঠিক নয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চরফ্যাশন থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।