জানা গেছে, জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান আদালতপাড়া, ডিসি ও এসপি অফিস, মুসলিমপাড়া, ওয়েস্টার্নপাড়া ও পৌরসভার সামনের সড়কগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। খানাখন্দে জমে থাকা দুই থেকে তিন ফুট পানিতে রিকশা, ইজিবাইক চলাচল তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাও কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বছরের পর বছর একই অবস্থা থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নেই কোনো কার্যকর পদক্ষেপ।
মুসলিমপাড়ার বাসিন্দা মামুনুর রশিদ জানান, ১৪ বছর ধরে রাস্তার এই দুরবস্থা। বর্ষায় তো হেঁটে চলাই যায় না, শুকনো মৌসুমেও অসহনীয় ধুলোবালিতে ভোগান্তি পোহাতে হয়।
ওয়েস্টার্নপাড়ার চিত্রও ভিন্ন নয়। এলাকাবাসী জানায়, সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলো নদীতে পরিণত হয়। পিচঢালা রাস্তা না থাকায় রিকশা-ভ্যান চলাচল প্রায় বন্ধ।
স্থানীয় মো. রাজিব বলেন, ‘আমরাই পৌরসভার সবচেয়ে বেশি কর দেই, অথচ এক যুগেও আমাদের রাস্তা সংস্কার হয়নি। এখন অনেক ভবনে ভাড়াটিয়াও আসতে চায় না।’
রিকশাচালক ও ইজিবাইক চালকরা জানান, প্রতিদিন গাড়ির যান্ত্রিক ত্রুটিতে আয়ের চেয়ে বেশি খরচ হচ্ছে।
একজন চালকের ভাষায়, ২০ টাকা আয় করে মেরামতে খরচ হচ্ছে ৫০ টাকা।
পৌরসভার দেয়া তথ্যমতে, পৌর এলাকার ২০ কিলোমিটার রাস্তা বর্তমানে পুরোপুরি চলাচলের অনুপযোগী। আরও ৪৫ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের অভাবে খানাখন্দে ভরা। পৌরসভার মোট ২৬১ কিলোমিটার রাস্তায় ১৭০ কিলোমিটার পাকা, ১৬ কিলোমিটার সেমিপাকা এবং ৭৬ কিলোমিটার হেরিংবোন সড়ক রয়েছে।
বর্তমান পৌর প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘সাবেক মেয়র পৌরসভা প্রায় তহবিলশূন্য করে গেছেন। ১২টি রাস্তায় জরুরি সংস্কারের জন্য ২০ কোটি টাকার প্রয়োজন। তবে আশা করছি, এ মাসের মধ্যেই সরকারি বরাদ্দ পাব। বরাদ্দ পেলেই সংস্কার কাজ শুরু করব।’
তিনি আরও আশ্বাস দেন, ‘বর্ষা তীব্র হওয়ার আগেই রাস্তাগুলো চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে।