রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ফারুক হোসেন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। ৪৭ বছর বয়সী ফারুকের বাড়ি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বাঁগধা এলাকায়। অন্য আসামি একই এলাকার হারতা জামবাড়ির ২৭ বছর বয়সী পারুয়া মিনি পলাতক রয়েছেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী রফিকুল ইসলাম সোহাগ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি উজিরপুরের দুই কিশোরীকে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি দেয়ার কথা বলে ফারুক হোসেনের হাতে তুলে দেন পারুয়া। পরিবারের অজান্তে তাদের লঞ্চে করে ঢাকায় নিয়ে মিরপুর-১৪ নম্বরের একটি ফ্ল্যাটে আটকে ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌনকাজে বাধ্য করা হয়।
অভিভাবকরা দুই কিশোরীর নিখোঁজ হওয়ার কথা স্থানীয় মেম্বর-চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানান। বিষয়টি জানতে পেরে আসামিরা ওই দুই কিশোরীকে আবার লঞ্চে তুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
এ ঘটনায় ২০০৯ সালের ৩ মার্চ এক কিশোরী বাদী হয়ে থানায় মামলা করে।
উজিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা ওই মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। একই বছরের ২৫ মে ফারুক হোসেন ও পারুয়া মিনির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
রফিকুল ইসলাম সোহাগ জানান, আদালত আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পর ফারুককে কারাগারে নিয়েছে পুলিশ। পলাতক পারুয়ার বিরুদ্ধে সাজা এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
Leave a Reply