আজ বুধবার এনবিআরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈয়দ এ মু’মেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান এবং বন্যা পরিস্থিতির কারণে শিশু খাদ্যসহ কতিপয় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণপূর্বক কর ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেয়।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, রেগুলেটরি ডিউটি ১৫ শতাংশহ্রাসের মাধ্যমে আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি অপরিশোধিত চিনির ওপর শুল্ক কর ১১.১৮ টাকা এবং পরিশোধিত চিনির ওপর শুল্ক কর ১৪.২৬ টাকা কমানো হয়েছে। এতে চিনির কেজি প্রতি মূল্য কমপক্ষে শুল্ক হ্রাসের সমপরিমাণ কমে আসবে বলে মনে করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।
এই শুল্ক কর হ্রাসকরণের ফলে অবৈধ পথে চিনির চোরাচালান নিরুৎসাহিত হবে এবং বৈধ উপায়ে আমদানি বাড়বে বিধায় শুল্ক কর আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
বাজারে চিনির দাম স্বাভাবিক রাখতে গত ৫ অক্টোবর অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে শুল্ক কমানোর সুপারিশ করে বাংলাদেশ ট্যারিফ অ্যান্ড ট্রেড কমিশন। চিঠিতে অপরিশোধিত ও পরিশোধিত চিনি আমদানিতে বিদ্যমান নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) ৩০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করার সুপারিশ করে প্রতিষ্ঠানটি। যেখানে ট্যারিফ কমিশন শুল্ক কমানোর পক্ষে বিভিন্ন যুক্তির উপস্থাপন করা হয়।