নিজস্ব প্রতিবেদক // বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ কর্মীদের লাঠিপেটাসহ এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সঙ্গে তর্কের ঘটনায় প্রত্যাহার ১২ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। সতর্ক করা হয়েছৈ ৫ পুলিশ সদস্যকে।
বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান সোমবার দুপুরে এ তথ্য বরিশালটাইমসকে নিশ্চিত করে জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী, একজন পরিদর্শক, তিন জন উপ-পরিদর্শক (এসআই), সাতজন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ হয়েছে। তবে অন্যদের নাম তিনি জানাননি। তদন্তে পাওয়া তথ্যের বিষয়েও তিনি কিছু জানাননি।
বরগুনা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনের সামনে গত ১৫ আগস্ট দুপুরে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পর সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের বেধড়ক পেটায় পুলিশ।
বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা জানান, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শিল্পকলায় প্রবেশের সময় হামলাকারীরা ছাদ থেকে তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ কারণে পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। এ সময় সেখানে বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ বলেছিল, গাড়ি ভাঙচুরকারীকে তারা চিনতে পেরেছে। আমি বলেছি, যে ভাঙচুর করেছে, তাকে দেখিয়ে দিন। আমি তাকে আপনাদের হাতে সোপর্দ করব। আসলে তাদের (পুলিশের) উদ্দেশই ছিল ছাত্রলীগের ছেলেদের মারবে। আমি তাদের মার ফেরানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেখানে এত পুলিশ আসছে যে কমান্ড শোনার মতো কেউ ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সোমবার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্বিচারে লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তা মহররম ছিলেন সেখানে। তিনি অনেক ভুল করেছেন।
‘যেখানে আমি উপস্থিত, সেখানে তিনি এমন কাজ করতে পারেন না। আমি তাকে মারপিট করতে নিষেধ করেছিলাম। তারা (পুলিশরা) আমার কথা শোনেননি।’
এ ঘটনায় বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জিয়াউল হককে প্রধান করে তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
Leave a Reply