তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। বর্তমানে তিনি পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি বিক্ষোভের মাঝে হঠাৎ এসে বলেন, শেখ হাসিনা চলে আসবেন। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা।এরপর ‘জয় বাংলা’ বলে স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। এ সময় সেখানে অবস্থান করা বিএনপি-যুবদলসহ ছাত্র-জনতা তাকে পিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তবে গণপিটুনির সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন।
হাবিবুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘কেউ এসে নিজেকে ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগ বললেই মারার আগে যাচাই-বাছাই করা উচিত। যারা প্রকৃত আওয়ামী লীগ তারা গোপনে ষড়যন্ত্র করে মাঠে নিরীহ লোকদের পাঠাচ্ছেন। আর কাউকে পেলেই মারতে হবে কেন? তাকে পুলিশে দিয়ে দিলেই তো হয়।’
যাতে করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি না হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সেই চেষ্টা করছে বলেই জানান হাবিবুর রহমান।
এর আগে শনিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও গুলিস্তান এলাকা থেকে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন সমর্থককে গণপিটুনি দেওয়ার খবর পাওয়া যায়। পরে তাদের পল্টন থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাছিরুল আমিন।
রবিবার দুপুরে তিনি বলেন, ‘আমি গুলিস্তানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচির দায়িত্ব পালন করছি। যাতে করে এলাকায় অপ্রীতিকর কোনো ঘটনার সৃষ্টি না হয়। শনিবার রাত থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত ছাত্র-জনতা প্রায় ১২ জন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সমর্থনদের থানায় সোপর্দ করেছে।’
জানা গেছে, আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল প্রতিহত করতে রবিবার সকাল থেকেই গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট মোড়ে অবস্থান নিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। অপর দিকে গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি-যুবদল-মহিলা দলসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যদেরও সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে। গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট ও বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ব্যাপক পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া গাড়ি নিয়ে পুরো এলাকা টহল দিতে দেখা গেছে বিজিবি সদস্যদের।