নিজস্ব প্রতিবেদক // ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েও সুবিধা বঞ্চিত রয়ে গেছে মো: আবু তালহা নামের এক মেধাবী শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী তালহা বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের ১৩ নং হাসেমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। বর্তমানে তিনি মোহাম্মাদিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় ১০ম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত।
প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের দ্বায়িত্বহীনতার কারণে সকল কাগজপত্র প্রদান করেও সুবিধা ভোগ করতে পারেনি বর্তমানে ১০ ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেধাবী শিক্ষার্থী মো: আবু তালহা।
এ বিষয় প্রতিকার চেয়ে ২২ জানুয়ারী দুপুর ১২ টায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এর সাথে সাক্ষাৎ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী তালহা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে তালহা ১৭ ই নভেম্বর ২০১৯ সালে ১৩ নং হাসেমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিএসসি (প্রাইমারী স্কুল সার্টিফিকেট) পরিক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। একই বছর ৩১ ডিসেম্বর ফলাফল ঘোষণা করা হয় এবং ফলাফলে তিনি জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
তালহার রোল- ৫০৪৩ এবং রেজিষ্ট্রেশন-১১২০১৯৫০১০৫০৪০৪৩ মেধা তালিকা অনুযায়ী তাকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি প্রদান করা হয়। হাসেমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে মোহাম্মাদিয়া কামিল মাদ্রাসায় হয় তালহা।
কিন্তু মাদ্রাসা ও স্কুল কর্তৃপক্ষের দ্বায়িত্বহীনতার কারণে সকল কাগজপত্র প্রদান করার পরেও বৃত্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকে যায় আবু তালহা।
ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান পেতে সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিক্ষা অফিসার, মাদ্রাসা সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বার বার অবহিত করেও কোন প্রতিকার মেলেনি।
দারে দারে ঘুরছে মেধাবী শিক্ষার্থী তালহা শিরোনামে বিষয়টি নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তখন দ্বায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা সমাধানের আশ্বাস দিলেও গত ৫ বছরে কোন সুরাহা হয়নি।
এ বিষয় মেধাবী শিক্ষার্থী মো: আবু তালহা অভিযোগ করে বলেন আমি গত ৫ বছর আগে বৃত্তি পেয়েছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষের দ্বায়িত্বহীনতার কারণে যথাযথ সম্মান এবং প্রাপ্য সুবিধা থেকে আমি বঞ্চিত রয়েছি। এ বিষয় বরিশাল জেলা প্রশাসক বরাবর আমি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার সকল কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি।