এটি নড়াইল, গোপালগঞ্জ, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, যশোর এবং ঝিনাইদহ জেলাকে সংযুক্ত করেছে। প্রকল্প কর্মকর্তাদের মতে, সেতুটি চালু হওয়ার মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ দ্রুত সড়ক যোগাযোগ সুবিধা পাবে। কারণ, সেতুটি কালনাঘাট থেকে রাজধানী ঢাকা পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্ব কমিয়ে দিয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত ১০টি জেলার মানুষ কম সময়ে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতে সরাসরি এ সেতুর সুবিধা ভোগ করবে। এটি দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল, যশোর থেকে ঢাকা পর্যন্ত ভ্রমণের সময়ও কমিয়ে দেবে। কারণ, এতে ঢাকা থেকে দূরত্ব হবে মাত্র ১৩০ কিলোমিটার।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে ৯৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে মধুমতি নদীর উপর সেতুটি নির্মিত হয়েছে।
১৪টি পিলারের উপর নির্মিত কালনা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬৯০ মিটার ও প্রস্থ ২৭.১ মিটার। সেতুর মাঝখানে ১৫০ মিটার স্টিলের স্প্যান বসানো আছে। পদ্মা সেতুর চেয়েও ২ লেন বেশি থাকা এই সেতুর মাঝখানের ৪টি লেন দিয়ে সার্বক্ষণিক ভারী যানবাহন এবং সেতুর দুই পাশের দুটি লেন দিয়ে রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলসহ নানান প্রকার যানবাহন চলাচল করবে। সেতুর উভয় পাশে ৪.২৭৩ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। আর ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
Leave a Reply