হুমকির কারণে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী বাদী ও তার স্ত্রী প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা মনিনুন্নাহার। প্রতারক সেলিম আজাদ মাগুরা জেলার সংকোচ খালী এলাকার আক্তার বিশ্বাসের ছেলে। উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি জানান, মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, লোহাগড়া উপজেলার হেচলাগাতী এলাকার মবকুল শেখের ছেলে পলাশ শেখকে সৌদি আরবের একটি কম্পানিতে ৬০ হাজার টাকা বেতনে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে ৮ লক্ষ টাকা দাবি করে প্রতারক সেলিম। সেলিম মামলার বাদীকে বলে প্রথমে ৬ লাখ টাকা দিতে হবে বাকি টাকা ভিসা আসিলে ফ্লাইট এর সময় দিতে হবে। তখন সেলিমকে বিশ্বাস করে ৬ লাখ টাকা প্রদান করে। এ সময় সেলীম তার নিজ নামীও ১শ’ টাকার ৩ টি নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্প এ একটি লিখিত দেয় যে সৌদি আরবে পাঠাতে না পারলে ৬ লক্ষ ফেরত দিবে। টাকা না দিলে সেলীমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারিবে। তখন সেলীম জানায় আগামি ২ মাসের মধ্যে ফ্লাইট হয়ে যাবে। এই বলে প্রতারক সেলিম টাকা নিয়া চলে যায়। পরে দুই মাস হলেও ভিসা আর বাদীকে দিতে পারেননি শুধু ঘুরাতে থাকে। পরবর্তী তার কাছে পাওনা ৬ লক্ষ টাকা চাইতে গেলে সেলিম টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে ও পলাশকে খুন ও মারত্মক জখম করবে বলে হুমকি প্রদান করেন। পরে পলাশ শেখ বাদী হয়ে এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখে নড়াইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। পরে নড়াইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে প্রতারক সেলিম আজাদ উপস্থিত হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক সাবরিনা চৌধুরী জামিন নামুঞ্জর করে তাকে কারাগারে পাঠায়। কারাগারে ১ মাস ৯ দিন কারাভোগ করে জামিনে বেরিয়ে এসে মামলা তুলে নিতে বাদী ও তার স্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়।
মামলার বাদী পলাশ শেখ জানান,‘মামলা তুলে নিতে আমাকেও আমার স্ত্রী মনিনুন্নাহারকে প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে সেলিম আজাদ। তার ভয়ে আমার স্ত্রী স্কুলেও যেতে সমস্যা হচ্ছে। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’