
নিজস্ব প্রতিবেদন // গত ৩০ সেপ্টেম্বর নলছিটি উপজেলার আওতাধীন ৫৬ নং অভয়নীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর সহকারী শিক্ষক মাহবুব আলম খান সুমন এর মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হন একই স্কুলের দপ্তরী মো কবির হাওলাদার । বিগত ২ মাস ধরে কবির হাওলাদার লিভার ক্যান্সারে ভুগছেন জীবন-মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি বর্তমানে শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে । সহকারী শিক্ষক মাহবুব আলম সুমন তার স্ত্রী হাসি আক্তারের নামে হাসি পোল্ট্রি ফার্ম প্রজেক্টে সোনালী ব্যাংকে ২ লাখ টাকার একটি লোন পাস করে যার জামিনদার বানানো হয় কবির হাওলাদারকে তার বিনা অনুমতিতে অজান্তে এমনকি তার ফ্যামিলির ও কোনো সদস্য এই বিষয়ে কিছু জানে না তাকে ভুল বুঝিয়ে সমাজসেবার আর্থিক অনুদান এসেছে বলে তার কাছ থেকে সিগনেচার নেওয়া হয় ব্যাংক প্রসেসিং এর লিগ্যাল কাগজপত্রে । এমনকি জামিনদারের সম্মতি পত্রে কবিরের বেতন সরকারি স্কেল অনুযায়ী চতুর্থ শ্রেণীতে ১৬০০০ টাকা কিন্তু ব্যাংকের কাগজপত্রে দেখানো হয়েছে ৩২৯৩০ টাকা। এরপর কবিরের পরিবারের লোকজন যখন জানতে পারে তখন তার কাছে জিজ্ঞেস করলে সে বিভিন্ন রকম লোভ দেখায়, ভয়-ভীতি এবং হুমকি প্রদান করে। এতেই তিনি শান্ত হননি সুপারিশ ক্রমে তিনি কবিরের মাসিক বেতন পর্যন্ত আটকিয়ে দেয় এবং তার স্ত্রীর সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে । এক বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে যে এই সহকারী শিক্ষক মাহবুব তার সহকর্মীদের কে জামিনদার করে বিভিন্ন রকম লোন বাণিজ্য করে এছাড়া সকলকে জিম্মি করে রাখে এর ভিতর প্রধান শিক্ষক ও বাদ যায়নি তার কথায় সবাই ওঠা বসা করে । তিনি স্থানীয় সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পাওয়ার সবসময় দেখায় তাই সকলে ভয়ে চুপ থাকে । ভুক্তভোগী কবীরের স্ত্রী জানান প্রধান শিক্ষকের কাছে সব বলেছি কিন্তু তিনি কোন ব্যবস্থা নেননি এমনকি কোন ধরনের সহযোগিতা করেনি । আমার তিনটি মেয়ে কোন ছেলে নাই খুব মানবেতর জীবনযাপন করছি । অবিলম্বে এই প্রতারকের কঠিনতম শাস্তি দাবি করছি ।