নিজস্ব প্রতিবেদক // আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংসদ সদস্য (এমপি) ও মন্ত্রীরা বিনা শুল্কে বিদেশ থেকে ৫২টি গাড়ি আনেন। কিন্তু সরকার পতনের পর সেইসব গাড়ি আর বন্দর থেকে খালাস নেননি তারা।
এমপি-মন্ত্রীদের বিলাসবহুল এসব গাড়ি বন্দরের ইয়ার্ডে পড়ে আছে। এসব গাড়ির মধ্যে ১৮টির নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য গত বুধবার (২৩ অক্টোবর) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখায় নথিপত্র পাঠিয়েছে। তবে কবে নিলামে ওঠানো হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ জানাতে পারেনি কাস্টমস।
জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর, মোংলা ও কমলাপুর আইসিডি দিয়ে সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীরা ৫২টি গাড়ি আমদানি করেন। কিন্তু গত ৫ আগস্টের পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় বিলাসবহুল ৫২টি গাড়ি আটকে দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
এনবিআরের তথ্যে দেখা গেছে, ৫২টি গাড়ির মধ্যে বেশির ভাগেরই টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার ও ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো, রেঞ্জ রোভার, টয়োটা জিপ, টয়োটা এলসি স্টেশন, মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ ব্র্যান্ডের গাড়ি।
আমদানি করা এসব গাড়ির বেশির ভাগই অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে আনা হয়েছে। আমদানির পর ইয়ার্ডে রাখার নির্ধারিত সময়সীমা ৩০ দিনের বেশি অতিবাহিত হওয়ায় নিলামে বিক্রির জন্য গাড়িগুলো কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বন্দরে আসার পর ৩০ দিন পার হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী গাড়িগুলো নিলামের জন্য কাগজপত্র কাস্টমস হাউসে পাঠানো হয়েছে। এখন কাস্টমস ব্যবস্থা নেবে।
কারণ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় গাড়িগুলো রাখা হয়েছে। এসব গাড়ি যত দ্রুত নিলামে বিক্রি হবে আমাদের জন্য মঙ্গল। ইয়ার্ড খালি হলে সেখানে নতুন কনটেইনার রাখা যাবে।